ঢাকা-মাওয়া রোডে যাত্রী ভোগান্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২২, ১১:৫২ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৪
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বাস সংকটে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের তিন উপজেলার (লৌহজং-শ্রীনগর-সিরাজদিখান) সাধারণ বাসযাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। নির্ধারিত ভাড়ার তিন গুণ ভাড়া নিয়েও অনেক সময় বাস পাচ্ছে না যাত্রীরা।পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার আগে ঢাকার গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ী থেকে শিমুলিয়া ঘাটের ভাড়া ছিল ৮০ টাকা। এখন আর শিমুলিয়া ঘাটে তেমন একটা বাস যাচ্ছে না। ফলে ওই সব বাসের যাত্রীদের বাধ্য হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গার বাসে চড়তে হচ্ছে। তারা পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে নেমে গেলেও তাদের ভাঙ্গার সমান ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা। তিন গুণ ভাড়া দিয়ে তাদের অনেক দুর্ভোগের মধ্যে মাওয়ায় পৌঁছাতে হচ্ছে। আবার মাওয়া, শ্রীনগর বা সিরাজদিখান থেকে আসা যাত্রীদের ঢাকাগামী বাসে চড়তে হলে ঘন্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তারপর বাস পেলেও ভাড়া দিতে হচ্ছে অনেক বেশি।
ঢাকা-মাওয়া রোডের যাত্রীদের এই ভোগান্তির প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শ্রীনগর প্রেস ক্লাবের সামনে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন যাত্রী কল্যাণ পরিষদের আহবায়ক, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, সদস্য সচিব ও পাটাভোগ ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল্লাহ্ খান মুন, শ্যামসিদ্ধি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন, মাকসুদ আলম ডাবলু, শাহে আলম, আব্দুল লতিফ মাস্টার, আমজাদ হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, ডাঃ রাশেদুল হাসান, মো. মিনহাজ উদ্দিন, ব্যারিস্টার গোলাম কিবরিয়া শিমুল, জাহাঙ্গীর অলম নিশি প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিককালে পদ্মা সেতু চালুর পর বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে (ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়ক) বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার অন্তগত মহাসড়কের কোন যাত্রী ছাউনীতে বাস থামানো হচ্ছে না। এতে করে প্রতিনিয়িত এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ এই রুটে ঢাকা যাতায়াতে চরম হয়রানী ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঢাকা থেকেও এই রুটের কোন পরিবহণে এ অঞ্চলের যাত্রীদের উঠানো হচ্ছে না। যদিও দুই একটি বাসে যাত্রী উঠানো হয় সেক্ষেত্রে ৬০-৭০ টাকার ভাড়ার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ভাঙ্গার ভাড়া ২৫০ টাকা। মুন্সীগঞ্জের ৩ উপজেলার লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। দ্রুত দাবী বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দেন তারা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত