ডাসারে চুরি মামলার সাক্ষীর ওপর হামলার অভিযোগ

  এস আর শফিক স্বপন, মাদারীপুর

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১৫:০৭ |  আপডেট  : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯

মাদারীপুরের ডাসারে মো. সেলিম ফকির-(৪০) নামে চুরি মামলার একজন সাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে হামলার শিকার সেলিম ফকিরকে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগীর স্ত্রী নাজমা বেগম। আজ শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। অপরদিকে চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাসার থানার এস.আই মো. কালাম হোসেনের রহস্য জনক ভূমিকা রয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে।

ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার দক্ষিন মাইজপাড়া গ্রামের কেতাবালী ফকিরের ছেলে বাদশা ফকিরের একটি মেশিন ৪/৫দিন আগে চুরি হয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ডাসার থানা পুলিশ চুরি হওয়া ওই মেশিন উপজেলার ভূরঘাটা বাজারের একটি দোকান থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মেশিনের মালিক বাদশা ফকির বাদী হয়ে একই এলাকার শাহাজালাল, মনা ও বায়জিদকে আসামী করে ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সাক্ষী হন মো. সেলিম ফকির। এর জের ধরে গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিন মাইজপাড়া গ্রামের রিপন মাস্টারের বাড়ির সামনে বসে ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় বেশ কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাক্ষি সেলিম ফকিরের ওপর হামলা চালায়। পরে হামলার শিকার সেলিম ফকিরকে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাসার থানার এস.আই মো. কালাম হোসেনের রহস্য জনক ভূমিকা রয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। অপরিদিকে এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগীর স্ত্রী নাজমা বেগম।

আহত সেলিম ফকির বলেন, মামলার সাক্ষী হওয়ায় গফ্ফার, শাহাজালাল ও মনা আমাকে চুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। তাই আমার স্ত্রী নাজমা বেগম তাদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি হামলাকারীদের নামে মামলা করবো। চুরি মামলার বাদি বাদশা ফকির বলেন, আমার মামলার সাক্ষি হওয়ায় সেলিম ফকিরের ওপর হামলা চালিয়েছে। চুরি মামলার অভিযুক্ত আসামী ও হামলাকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায় নি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেন ব্যক্তি ক্ষোভের সাথে বলেন, চুরি মামলায় আসামীদের গ্রেফতার করলে সাক্ষীর ওপরে এ হামলার ঘটনা ঘটতো না। মামলা হওয়ার বেশ কয়েকদিন পার হলেও চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাসার থানার এস.আই মো. কালাম হোসেন রহস্য জনক কারনে আসামীদের গ্রেফতার করছেন না। 

এস.আই মো. কালাম হোসেনের কাছে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিপ না করে পরে তার ফোন দিয়ে ওসিকে ধরিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এবং সাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত