ট্রলার-বাল্কহেডে চড়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে ঈদ ঘরমুখো যাত্রী, ১৮টি ট্রলার জব্দ

  কাজী দীপু মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশ: ১০ মে ২০২১, ১২:২৮ |  আপডেট  : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকা, সড়কে ও ঘাটে পুলিশের বাধাঁ উপেক্ষা করে ভিন্ন কৌশলে পদ্মা পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদ ঘরমুখো মানুষ। কতিপয় অসাধু চক্র সিন্ডিকেট গড়ে তুলে জনপ্রতি ৩ থেকে ৫’শ টাকা নিয়ে লৌহজং ও শ্রীনগরের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে পদ্মা পারাপার করে দিচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর চোরাই পথে পদ্মা পারাপার ঠেকাতে গতকাল রোববার ১৮টি ট্রলার আটক করেছে। অন্যদিকে নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারপরও জরুরি পন্যবাহি ট্রাকসহ ছোট ছোট যানবাহন শিমুলিয়া ঘাটে সারিবদ্ধ ভাবে পারাপারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এখনও বিচ্ছিন্নভাবে দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদ ঘরমুখো মানুষ ছুঁটে আসছে শিমুলিয়া ঘাট ও আশপাশ এলাকায়। তারা ভায়া যানবাহনের মাধ্যমে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে আসার পথে ঘাটের অদূরেই পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ছে। আর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে ঈদ ঘরমুখো যাত্রীদের পারাপার করতে স্থাণীয় একটি অসাধু চক্র অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। পুলিশের চোখ এড়াতে কৌশলে শিমুলিয়া ঘাটের পরিবর্তে লৌহজং ও শ্রীনগরের কয়েকটি স্পট থেকে যাত্রীদের ট্রলারে উঠিয়ে নৌরুট পার করে দিচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২ দিনে ২৪টি ট্রলার আটক করেছে নৌ-পুলিশ।

স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা জানিয়েছে, নৌরুটে সকল নৌযান বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে আসা যাত্রীরা শ্রীনগরের কবুতরখোলা, লৌহজংয়ের কান্দিপাড়া, যশলদিয়া, শিমুলিয়া বাজার ও পদ্মার চর, মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট ও মাওয়া মৎস্য আড়ত সংলগ্ন নদী তীরবর্তী স্পট দিয়ে স্থাণীয় একটি অসাধু চক্র যাত্রী প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে ঝুঁকিপূর্ন ভাবে পদ্মা পারাপার করে দিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ট্রলারই নয়, বালুবাহি বাল্কহেড ও মাছ ধরার ট্রলারে করেও ঈদ ঘরমুখো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌরুট পারাপার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, রোববার ভায়া যানবাহনে বিচ্ছিন্ন ভাবে ঈদ ঘরমুখো যাত্রীরা মাওয়া দিকে আসে। তবে তারা শিমুলিয়া ঘাটে না গিয়ে মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাটের দিকে চলে যাওয়ার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে পুলিশ। এখানে একটি সিন্ডিকেট চক্র ট্রলার ও স্পিডবোট দিয়ে নৌরুটের চরজানাজাত ঘাট ও আশপাশ এলাকায় পারাপার করে দিচ্ছে। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ১৮টি ট্রলার জব্দ করা হয়। নৌ-পুলিশ তৎপর থাকলেও ঈদ ঘরমুখো মানুষ নানা কৌশলে শিমুলিয়া ঘাটে না এসে লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার পদ্মার তীর এলাকার একাধিক স্পট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পারাপার হচ্ছে।

ঘাট সূত্র জানায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি। আর ঘাটে ও মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি ও পুলিশ। শুধু মাত্র পন্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোন যানবাহনকেই ঘাটে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নৌরুটের ফেরিবহরে ফেরিগুলো ভাসমান ডগ ইয়ার্ডে ও মাঝ পদ্মায় নোঙরে রাখা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত