টঙ্গীবাড়ীর সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তদন্তে দুদক

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৩৯ |  আপডেট  : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৪

ঘুষ লেনদেন, দালালদের প্রাধান্য, জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি, রেজিস্ট্রেশনের নামে অবৈধ বিভিন্ন ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে টঙ্গীবাড়ীর সাব-রেজিস্ট্রার স্বপন দে’র বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ সাধারন মানুষের, যারা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে হয়রানীর শিকার হন।

উপজেলার যশলং নিবাসী নূরে আলম মাদবর দুদক, ঢাকার কার্যালয়ে অভিযোগ করেন, তার নামজারীকৃত, খাজনা খারিজ পরিশোধীত জমি সাব-রেজিস্ট্রার দূনীতির মাধ্যমে অপর ব্যাক্তির নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। তাকে সহায়তা করেন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মোঃ আরিফ।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ জমি সাফকবলা বিক্রিতে খরচ প্রতি লক্ষ টাকায় রেজিস্ট্রেশন ফি ১%, ষ্ট্যাম্প ফি ১.৫%, স্থানীয় সরকার কর ৩%, উৎস কর ১%। হলফনামা ২০০ টাকা, ই ফি ১০০ টাকা, এন ফি প্রতি পাতা ১৬ টাকা, এন এন ফি ২৪ টাকা সহ কোর্ট ফি ১০ টাকা মিলিয়ে দলিল প্রতি ৬৫০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা সহ দলিল লেখকের মজুরি। সব মিলিয়ে ৬.৫% খরচ হলেও দলিল লেখকরা সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস খরচের কথা বলে দলিল মূল্যের প্রতি লাখে ১০% থেকে ১১% হারে টাকা আদায় করছে।

উপজেলার দলিল লেখকরা জানান, সাংবাদিকদের নিকট সব কথা বলা যাবে না। পরে সাব-রেজিস্ট্রার তার পরিচিত লোক ছাড়া অন্যদের নানান সমস্যার কথা বলে দলিল ফেরত দিবে।

সোমবার সকালে নূরে আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক টিম আসে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। সেখানে ঘন্টা ব্যাপি ভূক্তভোগীদের জবানবন্দি নেন দুদক টিম।

টঙ্গীবাড়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দালাল চক্রের আস্তানা। ওই অফিসে দালালরা মূলত সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষের টাকা সংগ্রহ করে থাকেন।

সাব-রেজিস্ট্রার স্বপন দে  জানান, দুদক তদন্ত কর্মকতারা তদন্ত করছে তারাই বলবে আমি অভিযুক্ত কিনা আমার নিজস্ব কোন বক্তব্য নাই।

দুদকের ডেপুটি পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত