জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:১২ | আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৪

জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু পর রাজধানীর কাকরাইলে এ হামলা ও ভাঙচুর চালায় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা অফিসের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেন।
জাতীয় পার্টির একাংশের প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। এটা অগণতান্ত্রিক। মবের রাজনীতি চলছে।’
গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁরা পল্টনে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে রওনা দেন। এরপরই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে সেখানে পুলিশ এলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ জলকামান থেকে পানি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে উত্তেজিত জনতা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পুলিশ আস্তে আস্তে জাপার কার্যালয় থেকে বিক্ষুদ্ধদের সরিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। বিক্ষুব্ধরা এখন বিজয়নগর প্রধান সড়কে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহেও একই কার্যালয়ে একাধিকবার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।নুরের ওপর হামলার ঘটনার পর বেশ কয়েকবার গণঅধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি দল জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।
জামায়াত জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করা উচিত। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জাতীয় পার্টির ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে বলেছি, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল জাতীয় পার্টি। যেভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তেমনিভাবে জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।
এদিকে গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে জিএম কাদের ভারতে গেলেন। তখন সাংবাদিকরা তাকে (জিএম কাদের) প্রশ্ন করলেন যে, আপনার সঙ্গে কী কথা হলো। তখন জিএম কাদের বলেছেন যে, ওদের (ভারত) পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারব না। এই হচ্ছে জাতীয় পার্টি। আপনি কি ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল? নাকি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল? এই আপনাদের মেরুদণ্ড? এই আপনাদের নীতি এবং আদর্শ? এই আপনাদের চরিত্র?
এনসিপিও অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে। গত রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত