চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাট জেলায় হরতাল

  স্টাফ রিপোটার বাগেরহাট:

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৭ |  আপডেট  : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৭

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন করে নির্বাচনী সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করার প্রতিবাদ এবং চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহলের দাবিতে জেলা জুড়ে হরতাল ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে হরতাল ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি চলবে সন্ধ্যায় ছয়টা পর্যন্ত। বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা মোংলা মহাসড়কের ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ জেলার অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়কের উপর গাড়ি, গাছের গুড়ি ও বেঞ্চ রেখে অবরোধ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

হরতালের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয়। পরে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসেন হরতালকারীরা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ফকরুল হাসানের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরে তিনি হেটে নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

নেতাকর্মীরা এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পৌনে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানকে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। পরে তিনি নিজের অফিসে প্রবেশ না করে জেলা ত্রাণ, দূর্যোগ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

মোংলার নদী পারাপার, ইপিজেড, মোংলা বন্দর সহ সব শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারী-সেরকারী অফিসসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ ও সড়ক অবরোধ সহ এক টানা এ হরতাল চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলে জানায় সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা। সড়ক পথে মোংলা বন্দরের মালামালা আনা-নেয়ার কাজও বন্ধ রয়েছে। সড়ক-মহাসড়ক বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলা সরাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সকাল থেকে এসব কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাফফর রহমান আলম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বিএনপি নেতা ফকির তারিকুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনেরমধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহল রাখারদাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের নেতাকর্মীরা। তার বিপরীতে গেল ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণ মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরাও কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত