চলাচল বন্ধ করতে রাস্তায় খুঁটি ও বড়ুই কাঁটা

  শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৬ |  আপডেট  : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫

বগুড়ার শাজাহানপুরে দীর্ঘদিনের পুরাতন রাস্তায় গাছ লাগিয়ে খুঁটি পুতে ও কাঁটা বিছিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রফিকুল ইসলাম বাবলু নামের এক ব্যক্তি। এতে করে স্কুল-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী ও গ্রামের লোকজনের চলাচলে চরম ব্যঘাত সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের পালাহার গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

পালাহার গ্রামের আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামের লোকজন এবং পালাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নন্দিগ্রাম উপজেলার গছাইল ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। আতাইল স্ট্যান্ড হতে পার্শ্ববর্তি গছাইল গ্রামের পাকা সড়কের পার্শ্ব রাস্তাটি নন্দিগ্রাম উপজেলার জনৈক এক ব্যক্তির জমির উপর দিয়ে পালাহার গ্রামে ঢুকেছে। দেড় বছর আগে নন্দিগ্রাম উপজেলার জনৈক ওই ব্যক্তির কাছ থেকে জমিটি কিনে নেন পালাহার গ্রামের আলহাজ্ব বাহার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাবলু। হঠ্ৎা করে গত ৫-৬ মাস পূর্বে রফিকুল ইসলাম বাবলু ওই রাস্তায় গাছ লাগিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেন। এঘটনায় স্থানীয় ভাবে বৈঠক বসলেও রফিকুল ইসলাম বাবলু বৈঠকে হাজির হননি। তখন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামের লোকজন রাস্তা থেকে গাছ তুলে স্বযত্নে রফিকুল ইসলাম বাবলুর বাড়িতে রেখে আসেন। এঘটনায় গ্রামের ১১ জনকে আসামী করে তারা গাছ কাটা ও ফৌজদারী আইনে হামলা, মারপিট ও ভাংচুর মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে গ্রামবাসিকে হয়রানী করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভন্ন ঘটনা দেখিয়ে এপর্যন্ত তারা ৭টি মামলা দায়ের করেছেন। এমতাবস্থায় গত দুই সপ্তাহ আগে আবারো ওই রাস্তায় খুঁটি পুতে গাছ লাগিয়ে রাস্তায় বড়ুই কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে।

আখের আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, তার অভাবী সংসারে রিক্্রা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে রিক্্রা বের করতে পারছেন না। এতে করে তার সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এবিষয়ে রফিকুল ইসলাম বাবলুর স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, ওই জমি তার ছেলের নামে কেনা। তার জমির উপর দিয়ে রাস্তা দেয়া যাবে না। তাই গাছ লাগানোর হয়েছে। কিন্তু কাঁটা দেয়া হয়নি। 

গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অধিকার কারো নেই। ওই পরিবারের লোকজন সুবিধার নয়। বহুবার বলা হয়েছে কিন্তু তারা কথা শোনে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আহমেদ জানান, সংশ্লীষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত