ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে উপকূলবাসী 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৭ মে ২০২৩, ১১:২৭ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪

বঙ্গোপসাগরে রোববারের মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির বার্তায় আতঙ্ক নেমেছে উপকূলে। ‘মোখা’ নামের এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা কয়েক হাজার মানুষ। 

বিগত বছরগুলোর দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার  উপকূলবাসী। দুর্বল এবং কাজ চলমান বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।

অধিকাংশ এলাকায় বহু আগে নির্মাণ করা এখানকার বেড়িবাঁধগুলো আর পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। কুয়াকাটা সমুদ্র এলাকায় চলছে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ। তবে এসব বাঁধ এখন আর সামাল দিতে পারছে না ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা। জিও ব্যাগের বালুর বস্তা আর রিং বাঁধ দিয়ে কোনোরকম টিকিয়ে রাখা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো। 

কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকায় ২০০৭ সালের আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া উপকূলীয় এলাকাগুলোর মধ্যে পটুয়াখালী কলাপাড়া একটি। এরপর ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা, ২০১৩ সালের ১৬ মে মহাসেন, ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই কোমেন, ২০১৬ সালের ২১ মে রোয়ানু, ২০১৭ সালের ৩০ মে মোরা, ২০১৯ সালের ৩ মে ফণী, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর বুলবুল আঘাত হানে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২০ মে  কলাপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। মূলত উপকূলের মানুষগুলোর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেই বসবাস করছে।

এ বিষয়ে কলাপাডা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় হবে তেমন কোন সংবাদ আমরা এখনো পাইনি তবে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগের কয়েকটি দুর্যোগে অগ্রীম প্রস্তুতি থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো গেছে। আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দীন মোল্লা বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়নে বাসিন্দা প্রায় ২০ হাজার অথচ এখানে সাইক্লোন শেল্টার আছে মাত্র ২০টি। এত মানুষকে এ কয়েকটি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া স্কুল, মাদরাসাসহ বিভিন্ন পাকা ভবনে অল্প কিছু মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব। এত মানুষকে এ কয়েকটি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। তবে যেকোনো পরিস্তিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা ইনশাআল্লাহ প্রস্তুত রয়েছি।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়ার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার দলনেতা মো. শফিকুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপের সংকেত আমরা পাইনি,তবে আবহাওয়া খারাপ হলে আমাদের সিপিপি টিমগুলো মাঠে সর্বদা কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ৭ মে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে সেটি ঘণীভূত হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অফিসের সদর দপ্তর থেকে কোন নির্দেশনা পাইনি আমরা।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত