গর্ভধারিণী মাকে মারধরের ঘটনা চাপা দিতে পাষন্ড ছেলের অভিনব কৌশল

  বরগুনা প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৫৬ |  আপডেট  : ১২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৮

নিজের গর্ভধারিনী মাকে নির্যাতনের ঘটনা চাপা দিতে অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে পাষন্ড ছেলে। শুধু একবার নয় বারবার নির্যাতন করে হাত এবং পা ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে ওই পাষণ্ড ছেলের বিরুদ্ধে। অপরদিকে পাষণ্ড ছেলের এই নির্যাতনের বিচার চেয়েছেন নির্যাতিতা দুখিনী মা। ঘটনাটি বরগুনা ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে,  ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের মৃতু নুরুল ইসলাম এর স্ত্রী আচিয়া বেগমকে কে প্রায়শই মারধোর করেন তার বড় ছেলে পাষন্ড মজিবর মিয়া। গতকাল ১৭ এপ্রিল শনিবার ইফতারের পরপরই ভুক্তভোগী আচিয়া বেগমকে বাড়িতে মারধর শুরু করেন পাষন্ড ছেলে মজিবর মিয়া। অভিযুক্ত  পাষন্ড ছেলে মজিবর মিয়ার মারধরের ফলে নির্যাতিতা মা আচিয়া বেগম ডাকচিৎকার দিলে আচিয়া বেগম এর মেঝ ছেলে স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশিদের নিয়ে মা আচিয়া বেগমকে মজিবরের হাত থেকে উদ্ধার করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত পাষন্ড ছেলে মজিবর তার গর্ভধারিণী মাকে নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নিজের ও তার সেজ ভাই হিমুর ঘর ভাংচুর করায়।

এ ঘটনার বিষয়ে এলাকার একাধিক নারী বলেন, মজিবর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলাকার বিভিন্ন ঘরের পিছনে দাও ছেনা নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। সন্ধ্যার পরে অভিযুক্ত মজিবরের তান্ডবে প্রকৃতির ডাকেও বাহিরে বের হতে পারছেন না তারা।

স্থানীয় একাধিক পুরুষ বলেন, মজিবরের মামলা দেওয়ার ভয়ে মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে পারছেন না তারা। যেই মুজিবরের এসব কর্ম কান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে তাকেই বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানি করে অভিযুক্ত মজিবর।

মজিবরের মেঝ ভাই মন্টু বলেন, আমার মাকে প্রায়ই নির্যাতন করে পাষন্ড মজিবর। গতকালও আমার মাকে মারধর করছিল মজিবর, আমি মায়ের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন সাথে নিয়ে মাকে মজিবরের হাত থেকে উদ্ধার করি। নিজের মাকে কিভাবে ছেলে মারধর করে?? তার বিচার চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

ভুক্তভোগী নির্যাতনের শিকার আচিয়া বেগম বলেন, মজিবর আমার বড় ছেলে। মজিবর আমাকে প্রায়ই মারধর করে। মারকরে আমার হাত পা ভেঙে দিয়েছিল। গতকাল ইফতারের পর মজিবর আমাকে মারধর শুরু করলে আমার মেঝ ছেলে স্থানীয় লোকজন সাথে নিয়ে আমাকে উদ্ধার করে। মজিবর আমাকে মারধর করে আমি এই নির্যাতনের সুষ্ঠ বিচার চাই।

অভিযুক্ত পাষন্ড ছেলে মজিবরের কাছে স্বাক্ষাতকার চাইলে, তিনি সাংবাদিকদের স্বাক্ষাতকার দিবেন না বলে জানান।

এবিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমরা এখনো কোব অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত