খেজুরগাছ ঝরার কাজে ব্যস্ত গাছিয়ারা

  নাজমুল হুদা

প্রকাশ: ১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ |  আপডেট  : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৭

বগুড়ার নন্দীগ্রামে খেজুরগাছ ঝরার কাজ চলছে পুরোদমে। এখন বাংলার কার্তিক মাস হেমন্তকাল। মাঠ থেকে আমন ধান কাটামাড়াইয়ের কাজও শুরু হয়েছে পুরোদমে। নতুন ধানের নতুন চালের মৌ মৌ গন্ধ চারিদিকে  ছড়িয়ে পড়ছে। 

এদিকে শীতের শিশির পড়া শুরু হয়েছে। সেই সাথে খেজুরগাছেও রস আসছে। এজন্য খেজুরগাছের ডালপালা কেটে-ঝুরে ফেলে হাড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করার কাজ চলছে পুরোদমে। হেমন্ত, শীত ও বসন্তকালে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এই রস সংগ্রহ করার জন্য আগেই খেজুরগাছ ঝরার কাজ করে হাড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করতে হয়। সেজন্য দরকার হয় গাছিয়াদের। যারা খেজুরগাছ ঝরার কাজ করে তাদেরকে আঞ্চলিক ভাষায় গাছিয়া বলা হয়। এখন খেজুরগাছ ঝরার কাজে ব্যস্ত গাছিয়ারা। 

নন্দীগ্রাম উপজেলায় খেজুরগাছ ঝরার পাশাপাশি কেউ কেউ রস সংগ্রহের জন্য হাড়িও লাগাচ্ছে কিন্তু এখন বেশি রস পাওয়া যাচ্ছে না। শীত বাড়লেই রস বেশি পাওয়া যাবে। শীতকালে খেজুর রস সবচেয়ে সুস্বাদু খাদ্যের মধ্যে একটি। খেজুর রস দিয়ে পিঠা-পুলি, ক্ষীর ও পায়েসসহ নানা রকমের রসালো খাবার তৈরি করা হয়। খেজুরের তরল ও পাটারী গুড়েরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই খেজুর রস ও গুড় খুব জনপ্রিয়। 

নন্দীগ্রাম উপজেলায় অসংখ্য খেজুরগাছ রয়েছে। যা থেকে বিপুল পরিমাণ খেজুর রস ও গুড় পাওয়া যায়। নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামছুর রহমান জানান, আমাদের এলাকায় অনেক খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এখন খেজুরগাছের ডালপালা কেটে-ঝুরে হাড়ি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিটি খেজুরগাছের ডালপালা কেটে-ঝুরে নিতে ১০০-১৫০ টাকা মজুরি দিতে হয়। আর ১০/১২ দিন পর খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে। খেজুরের রস গ্রামগঞ্জের মানুষের খুব প্রিয়। 

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত