খুন ঘটনার ১৬ বছর পর মামলা, আদমদীঘিতে এলাকায় চাঞ্চল্য
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৫১ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩১
কর্জ দেওয়া টাকা নিতে বন্ধুর বাড়িতে এসে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বয়েন নামের এক ব্যক্তি খুন হওয়া ঘটনার দীর্ঘ ১৬ বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুনের শিকার আব্দুর রাজ্জাকের মামা ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বর্মন গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মোট ১৪ জনকে আসামী করে বগুড়ার আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে যাবতীয় নথি তলব করেছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বাপ্পিহারপাড়ার বাসিন্দা আদমদীঘি সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ের দলিল লেখক আলেফ উদ্দিনের সাথে নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটকড়ই গ্রামের নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বয়েনের বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে আলেফ উদ্দীন বন্ধু আ্ব্দুর রাজ্জাকের নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা কর্জ নেয়। কর্জ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুত সময়ের পর বেশ কিছুদিন ধরে আব্দুর রাজ্জাক তার বন্ধু আলেফ উদ্দীনের নিকট থেকে কর্জ দেওয়া টাকা চেয়ে আসছিল। কিন্তু আলেপ মুহরি দেয়-দিচ্ছি বলে হয়রানি করতে থাকে। এঅবস্থায় ২০০৬ সালের পাঁচ অক্টোবর আব্দুর রাজ্জাক ফের আলেফ উদ্দিনের বাড়িতে আসে। এরপর টাকা দেয়ার কথা বলে সময় ক্ষেপন করতে করতে সন্ধা ঘনিয়ে রাত হয়ে যায়। ঘটনার রাতেও নানা প্রকার তালবাহানা করার এক পর্যায়ে আলেফ উদ্দিন তার স্ত্রী কহিনুর বিবি, ফারুক হোসেন তার স্ত্রী সেলিনা বেগম, রফিকুল ইসলাম. আব্দুস ছামাদসহ অপর আসামীদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পর দিন ২০০৬ সালে ছয় অক্টোবর আলেফ উদ্দীন বাদি হয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে গনপিটুনিতে আব্দুর রাজ্জাক নিহত হয়েছে মর্মে রাজ্জাকসহ কয়েক জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিচারকালে আসামীদের বিরুদ্ধে কোন স্বাক্ষী প্রমানাদি না পাওয়ায় আদালত ২০১৭ সালের নয় জুলাই মামলাটি খারিজ করে দেয়। এই ঘটনার পর রাজ্জাক হত্যাকান্ডের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ১৬ বছর পর আব্দুর রাজ্জাকের মামা রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে বগুড়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করে। এঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চা ল্য সৃষ্টি করেছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত