খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কোথায়, সিটি স্ক্যানের পর সিদ্ধান্ত: চিকিৎসক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩৪ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৯

করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কোথায় হবে, সিটি স্ক্যান করার পর সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, কোভিডে আপনি কখনও বলতে পারবেন না যে আগামীকাল আপনার অবস্থা কেমন হবে। এটা খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল একটি ভাইরাস। তবুও আমরা খুব দ্রুত তার সিটি স্ক্যান করাব। সিটি স্ক্যান করার পর যদি দেখি বাসায় রেখে চিকিৎসা করাটা তার জন্য ভালো হবে, তখন সেটাই করা হবে। 

তিনি বলেন, সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে যদি মনে হয়, কয়েকদিনের জন্য তাকে হাসপাতালে রেখে অবজারভেশন করব, তখন সেটাই করা হবে। অর্থাৎ সিটি স্ক্যানের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কোথায় হবে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সিদ্দিকী বলেন, সিটি স্ক্যান করাতে হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। কোথায় সিটি স্ক্যান করাব, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সময়মতো আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গত শনিবার আমরা ম্যাডামের যে রিপোর্ট করিয়েছি তার সঙ্গে মঙ্গলবারের রিপোর্ট মিলিয়ে দেখেছি। তাতে আমরা দেখেছি যে, ম্যাডামের যে শারীরিক অবস্থা, ব্লাড প্রেশার এগুলো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। 

গতকাল বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার একটু জ্বর উঠেছিল বলে উল্লেখ করে ডা. সিদ্দিকী বলেন, সেটা ১০০ ডিগ্রির মতো ছিল। আজকে সকালেও তার একবারের মতো একটু জ্বর উঠেছে। সেটাও ১০০ টাচ করেছিল। কিছুক্ষণ ছিল। এইমাত্র আমরা চেস্টের টেস্ট করে এসেছি। যেহেতু চেস্টসহ সবকিছু ক্লিয়ার আছে, তাতে মনে হয়েছে তিনি স্টেবল আছেন। 

খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্তের সাত দিন পার হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিডের পরিভাষায় এখন ম্যাডাম দ্বিতীয় সপ্তাহে এন্ট্রি (প্রবেশ) করেছেন। আমি আগেও বলেছি, প্রথম সপ্তাহ ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। কোভিডের যত জটিলতা সবকিছু দ্বিতীয় সপ্তাহে হয়। সেজন্য আমরা আরও একটু কেয়ারফুল হতে চাই। সেজন্য ম্যাডামের সবগুলো পরীক্ষা হয়েছে। শুধু সিটি স্ক্যান করা হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো এক সময় তার সিটি স্ক্যান করিয়ে ফেলব। 

খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিসের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে উল্লেখ করে ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রতিদিন তিনবার ব্লাড সুগার মনিটর করছি। সে অনুযায়ী আমরা তাকে ট্যাবলেট ও ইনসুলিন দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছি। আর আর্থ্রাইটিসের থেরাপি চলছে। এছাড়া বায়ো কেমিক্যাল, ফিজিক্যাল স্ট্যাটাস, অ্যাপেটাইট সবকিছুই ভালো আছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত