কালোজাদুর ফাঁদে তরুণী, ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৫ |  আপডেট  : ৩ মে ২০২৪, ০৮:৫০

প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বহু দিন। তবুও মন থেকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তরুণী। যে ভাবেই হোক আবার পুরনো সম্পর্কে ফিরে যেতে চান তিনি। উপায় না পেয়ে শেষমেশ ‘কালোজাদু’র মাধ্যমে প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ফেরার চেষ্টা করতে শুরু করেন তিনি। জ্যোতিষীর প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খুইয়ে বসেন তরুণী। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর জালাহাল্লি এলাকায় ঘটেছে। ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণী স্থানীয় থানায় এক জ্যোতিষী এবং তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আব্দুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। নিয়মিত জ্যোতিষচর্চা করেন এমনটাই তরুণীকে জানিয়েছিলেন আব্দুল। প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কী ভাবে আবার পুরনো সম্পর্ক জোড়া যায় তা নিয়ে আব্দুলের সঙ্গে আলোচনা করতেন তরুণী। তরুণীর দাবি, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের পরিবারের তরফে যেন তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও আপত্তি না জানানো হয়, সে জন্য তরুণীকে একটি বিশেষ আচার পালন করতে বলেছিলেন আব্দুল। সে কারণে পারিশ্রমিক বাবদ ৫০১ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পর তরুণীর ছবি-সহ তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিকের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও চেয়েছিলেন আব্দুল। এমনকি পরিবারের সদস্য এবং তাঁর সমস্ত বন্ধুবান্ধবের ছবিও আবদুল চেয়েছিলেন বলে তরুণীর অভিযোগ।

বিশেষ আচার পালন করে ‘কালোজাদু’ও করতে বলেছিলেন আব্দুল। সে কারণে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তরুণীর কাছে পারিশ্রমিক হিসাবে চেয়েছিলেন তিনি। জ্যোতিষীর কথামতো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকও দিয়েছিলেন তরুণী। তার পর আবার প্রায় দেড় লক্ষ টাকা তরুণীর কাছে দাবি করেছিলেন আব্দুল। বার বার এত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে হুমকি দিতে শুরু করেন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে দেবেন বলে আব্দুল তাঁকে হুমকি দিতে থাকেন। ভয় দেখিয়ে তরুণীর কাছ থেকে আরও ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চান। মোট ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আব্দুলকে দিয়েছিলেন তরুণী।

শেষ পর্যন্ত আব্দুল এবং তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তদন্ত চালিয়ে আব্দুল এবং তাঁর দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তরুণী নানা রকম আচার-অনুষ্ঠান পালন করার জন্য জোর করতেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন আব্দুল। যে টাকা তিনি পারিশ্রমিক হিসাবে নিয়েছিলেন তা পুরোটাই তরুণীকে ফিরিয়ে দেবেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।(আনন্দবাজার)

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত