কর্মকর্তার সংখ্যা যতই হোক, গাইবান্ধায় উপনির্বাচনে অনিয়মের শাস্তি হবে: ইসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ২০:২৫ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাইবান্ধা–৫ আসনের উপনির্বাচনে যেসব কর্মকর্তা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তার সংখ্যা যতই হোক, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। গাইবান্ধার উপনির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া আইওয়াশ—এমন আলোচনা আছে, আসলেই তা–ই কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ‘আইওয়াশ’ করা না করার কোনো সুযোগ নেই। ইসি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা ইসির দায়িত্ব। নির্বাচন যতক্ষণ না সুষ্ঠু হবে, ততক্ষণ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন করা হবে।

মো. আলমগীর বলেন, তাঁরা নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে গাইবান্ধা–৫ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সেখানে দেখা গেছে, অনেক কেন্দ্রে ভোটের গোপন কক্ষে ভোটার আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর পোলিং এজেন্টরা ভোটের বাটন চেপে দিচ্ছেন। এটি দেখে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সে অনুযায়ী কাজ করেননি। অপরাধীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার নির্দেশও মানা হয়নি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন, এমনটিও কমিশন দেখেনি। তাই আইন অনুযায়ী যা করা উচিত ইসি সেটা করেছে।

ওই সব অনিয়মের ঘটনার তদন্ত চলছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা কি স্বেচ্ছায় এসব অনিয়ম করেছেন, নাকি কোনো চাপে পড়ে করেছেন, নাকি সহযোগিতা চেয়েও পাননি—এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি প্রমাণ হয় স্বেচ্ছায় এমনটি করেছেন, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকলেও কেউ সে সুযোগ নেননি, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইসি তাঁদের দুই মাস পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি দিতে পারে। এ ছাড়া অপরাধী কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এটি বাস্তবায়ন করে ইসিকে জানাতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, এমনটা সাদা কাগজে লিখিত দিয়েছেন গাইবান্ধা–৫ আসনের অনেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। তাঁরা এটি করতে পারেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এ ধরনের এখতিয়ার তাঁদের নেই। তবে তাঁরা এমনটা আসলে করেছেন কি না, ইসি জানে না। ইসি বা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ ধরনের কিছু দেওয়া হয়নি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কিছু লিখতে হলে নির্দিষ্ট ফরমে দিতে হয়। যদি তদন্তে প্রমাণ হয় এ ধরনের কাজ তাঁরা করেছেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ব্যালট ও ইভিএম—দুই ক্ষেত্রেই ভোট ডাকাতি সম্ভব। তবে ব্যালটে ১০ মিনিটেই সিল দিয়ে ৪০০ ভোট দিয়ে দিতে পারে, কিন্তু ইভিএমে এ ধরনের সুযোগ নেই।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত