ওরা সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে জবাব দিবো: সেতুমন্ত্রী

  চট্টগাম প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:৫০ |  আপডেট  : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৬

চট্টগ্রামের উন্নয়নে শেখ হাসিনার অনেক বড় অবদান রয়েছে আর সেই অবদান এর কারণ তার এই অঞ্চলের প্রতি একটা মায়াবী টান আছে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অপেক্ষা করুন, তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট মেট্রোরেল আসছে। উন্নয়নের পর উন্নয়ন... ওরা সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে জবাব দেবো।’

শনিবার (২৬ নভেম্বর) কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউব এর পূর্ত কাজ সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু থেকে সরে গেছে। এখন তারাই বলে বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণে একটা আশ্চর্যজনক উদাহরণ। তারা বিশ্বকে উন্নয়নে চমকে দিয়েছে।‘

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আজকে দক্ষিণ এশিয়ার নদীর তলদেশে এটাই প্রথম সেতু। সেই টানেল হচ্ছে। এটা হবে সাংহাইয়ের মতো। এপারেও থাকবে একটা টাউন ওপারেও থাকবে আর একটা টাউন। দুই পাড়েই দুই টাউন। এটা একটা আমি সাংহাইতে দেখি এসেছি। কী অপূর্ব সুন্দর!‘

তিনি বলেন, ‘এটার দুটি টিউব। আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রাম শহরের এই প্রান্তেরটার কাজ শেষ হয়েছে। যেটা চট্টগ্রাম শহর থেকে ওই প্রান্তে আনোয়ারাতে যাবে সেটাও শেষের পথে। আনুষঙ্গিক কিছু কাজ, নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাপনা বাকি রয়েছে। সবমিলিয়ে আশা করি পদ্মা সেতুর পর ঐতিহাসিক এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর সৌভাগ্য। চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল হবে, ফিজিবিলিটি টেস্ট হচ্ছে। ঢাকা চট্টগ্রাম যে ফোর লেন রয়েছে, এই ফোর লেনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অচিরেই আরও দুটি সার্ভিস লেন পাস করেছি। এতে আশেপাশের জেলার যোগাযোগ ভালো হবে।‘

তিনি বলেন, ‘এরপর হচ্ছে চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও মাতারবাড়ি। আমি জাপানিজ অ্যাম্বাসাডরকে বলেছি। আমাদের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সেখানে গিয়েছিলেন। আমি আশা করছি জাইকা অচিরেই চট্টগ্রাম কক্সবাজার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে প্রয়োজনীয় ফান্ডিং দিবে। এটা আমরা আশা করে আছি। চট্টগ্রামে কিছু বাকি নাই। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ বছর আগের পাহাড় আর এখন ২০২২ সালের পাহাড় অনেক বদলে গেছে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি চেনাই যায় না। পুরো চট্টগ্রাম বদলে গেছে। আজকে সত্যিকার অর্থে পুরো বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে।’

তিনি বলেন, ’সজীব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতায় আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। নেক্সট টার্গেট, নেক্সট ডেস্টিনেশন স্মার্ট বাংলাদেশ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো আমরা এবার ইলেকশন ম্যানুফেস্টিতে স্মার্ট বাংলাদেশ করার কথা বলবো।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণভবনে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এসময় পতেঙ্গা প্রান্তে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ,  শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম,  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত