এমপি হতে পদত্যাগ করলেন যে ৪৭ নেতা
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৪৬ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করেছেন স্থানীয় সরকারের ৪৭ নেতা। এর মধ্যে ৪৩ জন উপজেলা এবং তিনজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন একজন সদস্য। বুধবার বিকেল পর্যন্ত স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী সরকারের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে কেউ এমপি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের পদ লাভজনক। এজন্য পদ ছেড়েছেন চেয়ারম্যানরা। ইতোমধ্যে তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ ও পদ শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পদত্যাগ করা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন—কুড়িগ্রামের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, লালমনিরহাটের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। এছাড়া যশোর জেলা পরিষদের সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন—টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মো. ইউনুস ইসলাম তালুকদার ও মির্জাপুর উপজেলার মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, ঢাকার ধামরাই উপজেলার মো. মোহাদ্দেছ হোসেন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার মো. নাসিরুল ইসলাম খান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মো. ইমদাদুল হক বিশ্বাস, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মুশফিকুর রহমান খান, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মহিউদ্দিন আহমেদ, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরু, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ঐ উপজেলার মো. কাবির মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মো. শফিকুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলার মো. নুরুল ইসলাম সাজেদুল, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মজিবুর রহমান মজনু ও আদমদিঘী উপজেলার মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, পাবনার চাটমোহর উপজেলার মো. আব্দুল হামিদ, নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার জান্নাতুল ফেরদৌস, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মো. আব্দুল হাই আকন্দ, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাহমুদ হাসান সুমন, সীতাকুণ্ড উপজেলার এস এম আল মামুন, সাতকানিয়া উপজেলার আব্দুল মোতালেব, পটিয়া উপজেলার মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং চন্দনাইশ উপজেলার মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী।
এছাড়া শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার এডিএম শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী উপজেলার এস এম আবদুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এ কে এম শফি আহমদ (সলমান), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, হাজিগঞ্জ উপজেলার গাজী মাঈনুদ্দিন, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মো. আবুল কালাম আজাদ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আবদুস ছোবহান ভূঁইয়া, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মোহাম্মদ শরীফ বাদশা ও রামু উপজেলার সোহেল সরওয়ার কাজল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ফিরোজুর রহমান, মেহেরপুর সদর উপজেলার মো. ইয়ারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান বাবু, শ্যামনগর উপজেলার এস এম আতাউল হক, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মো. কামারুল আরেফিন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মো. জাকির হোসেন সরকার, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার মো. মোখলেছেদুল মোমিন, গাইবান্ধার সদর উপজেলার শাহ সারোয়ার কবীর, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মো. আলী আসলাম, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ শামসুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত