একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি: ছোট ভাইয়ের বয়স ৩৭, বড় বোনের ৩৪
প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২২, ১৯:৩১ | আপডেট : ৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫০
বাগেরহাটে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ভাইবোনের বয়স নিয়ে চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জিউধারা জিউধারা এম বাজার নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা নামের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আপন ছোট ভাইয়ের বয়স তার বড়বোনের চেয়েও তিন বছর বেশি। ফলে বিষয়টি এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে।
সম্প্রতি এ মাদ্রাসায় ‘ন’ আদ্যাক্ষরের বড় বোনকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে কাগজ পত্রে তার বয়স দেখানো হয়েছে ৩৪ বছর। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে এর আগেই থেকেই চাকরিরত তার ছোট ভাইয়ের বয়স ৩৭ বছর।
জানা যায়, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় সার্কুলার দেয়। সে অনুযায়ী দু’টি পদে ১৩ জন প্রার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (মহিলা) পদে ৭জন অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞপ্তির দীর্ঘ ৪ মাস পর গত ১৫ জানুয়ারি অন্য উপজেলার (রামপাল) একটি মাদ্রাসায় বসে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিয়োগ বোর্ডে ডিজি প্রতিনিধির প্রধান ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আ. হান্নান, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. গফ্ফার হাওলাদার, যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান এম বাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ মোঃ ইয়াকুব আলী, সদস্য আলহাজ্ব মাস্টার নুর ইসলাম মৃধাসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ড’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে দুই জনকে মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রদান করেন।
এতে ‘ন’ আদ্যাক্ষরের বড় বোনের শিক্ষাসনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদসহ অন্যান্য সব কাগজপত্রই তৈরি করা। ফলে তার বয়স ছোট ভাইয়ের চেয়েও ৩ বছর কম দেখানো হয়। সোনিয়া ও শিল্পি আক্তার নামে দুজন চাকরির প্রার্থী জানায়, এ ঘটনায় তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ১২টি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। প্রতারনামূলক এ নিয়োগ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ওই মাদ্রাসার সুপার মাও. মো. ইয়াকুব আলী বলেন, এই মাদ্রাসায় এই বোনের ছোট ভাই অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করছেন এটা সত্য কিন্তু আমি এ প্রতিষ্ঠানে সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে আমি নতুন তাই নিয়োগ বোর্ডে দেওয়া কাগজ পত্র অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছি। তবে তার কাগজ পত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নিলে চাকরিচ্যুতসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করানো হয়েছে এবং অভিযুক্তকে এখনই বেতন ভাতাদির আওতায় না নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও তার কাগজ পত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্ত চলছে, জালিয়াতি বা প্রতারণার আশ্রয় নিলে অবশ্যই সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সনদ জালিয়াতির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে প্রমানিত হলে তার ভাইসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত