উন্নত চিকিৎসা নিতে শীঘ্রই বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৬:১৬ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০
উন্নত চিকিৎসা নিতে চলতি মাসে বিদেশে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ফ্লাই করার (সফর) মতো হলেই তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির নবনিযুক্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি মাল্টিপল ডিজিজ সেন্টারে লিভার প্রতিস্থাপনসহ জটিল সমস্যাগুলোর চিকিৎসা করাবেন তিনি। তাঁর দেশি-বিদেশি চিকিৎসক, পরিবারের সদস্য এবং দলের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য এর আগে পুরো শরীর চেকআপ করে খালেদা জিয়ার অন্য জটিলতাগুলো কমিয়ে আনতে হবে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকদের মতে, প্রথমেই লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তাই শারীরিক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০আগস্ট) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নব নিযুক্ত দুই স্থায়ী কমিটির সদস্যকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি অসুস্থ, ফ্লাই করার মতো পরিস্থিতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। দেশ আজকে একটি নবতর স্বাধীনতা পেয়েছে। একবার আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পেয়েছি। এবার ৫ আগস্ট নতুন প্রজন্ম দেখতে পেল, স্বাদ পেল স্বাধীনতা কাকে বলে, কথা বলার স্বাধীনতা, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কাকে বলে।
তিনি আরও বলেন, দেশে মানবাধিকার ছিল না। এক ব্যক্তির শাসন ছিল, সেখান থেকে আজ আমরা মুক্ত হয়েছি। গণতন্ত্রের যাত্রাপথের মুক্তিকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।
নবনিযুক্ত আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি ৩২ বছর ধরে বিএনপির সদস্য। আমাদের নীতিনির্ধারণী ফোরামে স্থান দেওয়ার জন্যে খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামী দিনগুলোতে বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে এটাই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন ১৬ বছর আগে বিএনপি শুরু করেছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষ পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে এই আন্দোলনকে বেগবান করে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে গিয়েছে। আজকে এই আন্দোলনে শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যতজন শহীদ হয়েছে, তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
ছাত্র-জনতার আগস্ট বিপ্লবে দেশের সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আগস্ট বিপ্লবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শেষ মুহূর্তে এসে জনগণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে স্বৈরাচারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য সেনাবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেকটি সদস্যকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
আগামী দিনেও এসব বাহিনী যারা জনগণের অর্থে প্রতিপালিত, তারা সব সময়ে জনগণের সাথে থাকবে, কখনো স্বৈরাচারকে স্থান দেবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত