ইসি সানাউল্লাহর আশা, 'নির্বাচনে ‘রেকর্ড সংখ্যক’ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে'
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:০৪ | আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ২১:০৩
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ‘রেকর্ড সংখ্যক’ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ নির্বাচনে মাধ্যমে ‘দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার পুনঃসূচনা হবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস’ আয়োজিত এক কর্মশালায় সূচনা পর্বে বক্তব্য রাখছিলেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, “সাধারণত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনগুলোতে বিদেশ থেকে বহু পর্যবেক্ষক আসেন। আমর আশা করছি, এবারের নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবেন।“ইতিবাচকভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, সবাই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিকযাত্রার পুনঃসূচনার ইতিহাসের অংশীদার হতে পারবেন।”
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আসতে শুরু করবেন জানিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “যেকোনো বিদেশি নাগরিক দূতাবাসের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদের আবেদনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।”
স্থানীয় পর্যায়ের পর্যবেক্ষক মনোনয়নের ক্ষেত্রে ‘সীমাবদ্ধতা’ তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “সীমাবদ্ধতাটি হলো, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন; যারা ওই তিন নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে জড়িত ছিল তারা সেগুলোকে গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে; তাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তাদের নিতে পারিনি।
“তবে সৌভাগ্যজনকভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করে প্রাথমিকভাবে ৩০০টিরও বেশি আবেদন আমরা পেয়েছিলাম, আমরা বিস্তারিতভাবে তাদের সক্ষমতা যাচাই করেছি। প্রায় ৮০টি প্রতিষ্ঠান আসন্ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবে। এ সংখ্যাটিও ভালো, আগের নির্বাচনগুলোতে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা খুব কম।”
দেশে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনগুলোতে সাধারণত এক থেকে দুই লাখ পর্যবেক্ষক থাকেন জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “এটা ভালো সংখ্যা, কারণ আমাদের ৪২ হাজার ৭০০টির মত কেন্দ্র আছে। প্রতিকেন্দ্রে অন্তত একজন পর্যবেক্ষক রাখাই সক্ষমতার বহিবহিঃপ্রকাশ।
“আমাদের দেশের ভেতরেই যথেষ্ট সংখ্যক নাগরিক পর্যবেক্ষক রয়েছেন, আমরা আগামী ২৫ নভেম্বর তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার উন্নয়নের জন্য আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।”
অংশীদার সংস্থাগুলোর অনুরোধে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের বয়সসীমা কমিয়ে ২৪ থেকে কমিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকতে পারে বলে আমাদের মনে হয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।”
ইসি ভোটকে অংশগ্রহণমূলক করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে মন্তব্য করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “এআইয়ের অপব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিসইনফরমেশন আর ডিসইনফরমেশন মোকাবিলা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ইসি। তবে সবার সহযোগিতায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব।”
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্সসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে কর্মশালাটির আয়োজন করে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত