ইউপি সদস্যের ঘের থেকে মাছ লুট, গই ঘরে আগুন

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৯:৪২ |  আপডেট  : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৬

বাগেরহাটে রাতের আধারে মৎস্য ঘের থেকে জোরপূর্বক মাছ ধরা এবং গই ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রিপন হাওলাদারের নেতৃত্বে চাষ করা বড় বাসবাড়িয়া এলাকার যৌথ মৎস্য ঘেরে এই ঘটনা ঘটে। এতে ঘের মালিকদের এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ইউপি সদস্য রিপন হাওলাদার বাগেরহাট মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ইউপি সদস্য রিপন হাওলাদার বলেন, স্থানীয় নুরু হাওলাদার, শাহিন হাওলাদার, নাছির মোল্লা, পলাশ মোল্লাসহ ১৭জন মিলে বড় বাসবাড়িয়া এলাকায় ১০ বিঘা জমির উপর একটি ঘের করি। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল এই ঘেরটি দখলের পায়তারা করে আসছিল। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামপাল উপজেলার উত্তরমাদার দিয়া এলাকার আকববার হাওলাদার [৪২], মনির হাওলাদার[৩২], রবিউল হাওলাদার[৩২], তরিকুল হাওলাদার[২৮], শাহা আলম হাওলাদার [৪৫], নুর“ শেখ [৪], চানু শেখ [৩০] এবং বড় সন্যাসী এলাকার সুমন হাওলাদারসহ (৩৮) অজ্ঞাতনামা ৫-৬জন লাঠিসোটা, দাও, ছুড়ি ও জাল নিয়ে আমাদের মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে। প্রথমেই গই ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়, পরে জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। গই ঘর, ঘরে থাকা মাছের খাবারসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৩০ হাজার টাকার মাছ তারা লুটে নিয়ে যায়। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।

ঘেরের কেয়ার টেকার সোহাগ হাওলাদার বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে আকববার হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন লোকজন লাঠিসোটা ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘেরে আসেন। তাদের ভয়ে পাসের এক জায়গায় পালিয়ে থাকি। তারা জাল দিয়ে ঘেরের মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমাদের গই ঘরে আগুন দিয়ে দেয়।

অভিযুক্তদের পক্ষে আকববার হাওলাদার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত