আন্ত:নগর ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২১, ২০:২৩ | আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫
করোনার কারণে যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিট ইস্যুর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খানের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে নতুন এ নিয়ম জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের আলোকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ইস্যু করার ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে।
১. বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মোট আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট একইসঙ্গে অনলাইন, মোবাইল অ্যাপ ও কাউন্টারে যুগপৎভাবে সকাল ৮টা থেকে অগ্রিম ব্যবস্থাপনায় ইস্যু করা।
২. আগামী ১১ এপ্রিলের পর আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ইস্যু পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা।
৩. আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা প্রদান ও ট্রেনে রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করা।
টিকিট ইস্যুর উল্লেখিত সংশোধনীগুলো আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে সময়ে সময়ে জারিকৃত টিকিট ইস্যু এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করার অন্যান্য নিয়মাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে সোমবার গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা জারি করে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে করোনা প্রতিরোধে মোট ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। সেখানে এ কথা বলা হয়। এর আগে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ৩১ মে থেকে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রাখতে বলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। তখন বাসমালিকদের দাবির মুখে বাসের ভাড়া ৬০ ভাগ বাড়ায় সরকার। এর আগে দীর্ঘদিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। তবে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও বাসের সব সিটে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী জানান, ‘আমাদের সব ট্রেনে আমাদের যে কয়টি আসন আছে, তার অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে। আর আন্তঃনগর ট্রেনের কিছু অগ্রিম টিকেট বিক্রি আছে। তা যদি ৫০ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে, তাহলে কিছু করার নেই। কিন্তু এখন থেকে আর ৫০ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রি করব না।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত