আদমদীঘিতে প্রতিপক্ষের দুই বাড়িতে হামলা ভাংচুর পুলিশসহ আহত-৪, গুলি আটক-২
প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২২, ১৯:১৮ | আপডেট : ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৮
পুর্ব শত্রুতার জেরে বগুড়ার আদমদীঘির লক্ষিপুর গ্রামের সেদ্দা গ্রুপ প্রতিপক্ষ শাহিন গ্রুপের দুই বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে চলে ইট-পাথর নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা। তাদের নিক্ষেপিত ইটের আঘাতে এক পুলিশ এবং সেদ্দা গ্রুপের মারপিটে আহত হয়েছে শাহিন গ্রুপের ২জন। পুলিশসহ ৩জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ শর্টগানের গুলি চালিয়েছে। আটক করা হয়েছে ২জনকে। এঘটনায় ভয়-আতংকে নসরতপুর বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, ওই গ্রামের মসজিদ ও সেচযন্ত্র গভীর নলকুলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে আব্দুল কাদের সেদ্দা ও শাহিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত শত্রুতা চলে আসছে। এর জের ধরে শনিবার রাত ১১টার দিকে কে বা কারা সেদ্দা গ্রুপের ৭ থেকে ৮ খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনাটি শাহিন ঘটিয়েছে বলে দাবী করে সেদ্দার ভাই রুহুল আমিন আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্যকে ফোনে অভিযোগ করে। কিন্তু এসময় শাহিন মামলা সংক্রান্ত কাজে থানায় অবস্থান করছিল। ওসি বিষয়টি রুহুল আমিনকে জানালে সে ফোন কল কেটে দেয়। এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেদ্দা তার লোকজন নিয়ে শাহিন গ্রুপের আব্দুল মজিদের বাড়িতে গিয়ে ডেকে তোলে। মজিদ ও তার ছেলে মোমিন বাড়ির বাহিরে আসার সাথে সাথে তাদের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিটে আহত করে চলে যায়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। এরপর রবিবার সকাল থেকে ধারাল অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে সেদ্দা তার অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে গ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় শাহিন গ্রুপের আব্দুস ছালামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এক সময় তারা গ্রামের প্রবেশ ও বাহির পথ রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেয়। এর অপর প্রান্তে অবস্থান নেয় শাহিন গ্রুপের লোকজন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, শাহিন গ্রুপের মহসিন নামের ব্যক্তি গ্রাম সংলগ্ন নসরতপুর বাজারে যাওয়ার সময় সেদ্দার লোকজন তাকে ধাওয়া করে। সে প্রাণ ভয়ে গ্রামের হাজ্বি আব্দুল মজিদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সে কারনে তারা ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। ফলে উভয় পক্ষে পাল্টাপাল্টি ইট-পাথর নিক্ষেপের ঘটনা চলতে থাকে। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রামে যাওয়ার সময় লক্ষিপুর রেলক্রসিংয়ে ইটের আঘাতে জিকরুল নামের এক পুলিশ কন্সটেবল গুরুত্বর আহত হয়। তাকে দ্রুত আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ শর্টগানের দুই রাউন্ড গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশ আটক করে দুই ব্যক্তিকে। এদিকে এই ঘটনায় হামলা ও ভাংচুরের ভয়-আতংকে নসরতপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। এসংবাদ পাঠানো সময় পর্যন্ত বাজারের সব ব্যবসা বন্ধ ছিল। ঘটনায় লক্ষিপুর গ্রামের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসংবাদ পাঠানো সময় পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্য জালাল উদ্দিন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত