বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর মুক্তিযোদ্ধার আবেদন
আদমদীঘিতে ছয় স্বচ্ছ ব্যক্তির নামে খাজ জমি ইজারা
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৪২ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৯
সরকারি নীতিমালা লংঘন করে ছয় স্বচ্ছল ব্যক্তিকে দেয়া ৩৪ শতক খাস জমির ইজারা বাতিল চেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছেন আদমদীঘির বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম। সম্প্রতি বগুড়া জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখা সান্তাহার শহরের ছয় ব্যক্তির নামে ওই পরিমাণ জমি ইজারা প্রদান করা হয় । বর্তমানে ওই জমিতে বাড়িঘর নির্মাণের কার্যক্রম চলছে।
আবেদনে উল্লেখ হয়েছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার মৌজার চা-বাগান মহল্লায় এক নম্বর খতিয়ানে সরকারের ৩৪ শতক খাস জমি রয়েছে। জমিটি আগে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল, পরে ২০০৯ সালে হাল (আরএস) রেকর্ডে জমিটি এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। জমিটি খাস হলেও জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখার সার্ভেয়ার বর্তমান রেকর্ড গোপন করে সেটিকে পুর্বের রেকর্ড মুলে পরিত্যক্ত দেখিয়ে ছয় স্বচ্ছল ব্যাক্তির নামে ইজারা দেয়ার প্রস্তাব করেন। সে মোতাবেক ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর আদমদীঘি উপজেলা ভুমি কার্যালয়ে জমির লীজমানি (ইজারার অর্থ) প্রদান করা হয়েছে। ইজারা গ্রহীতারা হলেন, আহম্মদ আলীর ছেলে আলমগীর খাঁন, মোছা. মামুনুর রশীদের স্ত্রী নাজমুন নাহার আকবর আলীর ছেলে এনামুল হক ও মিজানুর রহমান, মোছা. কাজী আব্দুর রশীদের স্ত্রী আকতারুন নেছা ও ওয়াসিম বারীর স্ত্রী জেসমিন পারভীন। সরেজমিন দেখা গেছে, ৩৪ শতকের মধ্যে ২৪ শতক জমির শ্রেনি ডোবা। জমির ইজারা পাওয়া ব্যক্তিরা এই ডোবাটি গত জানুয়ারী মাসে ভরাট করেন। সান্তাহার পৌর কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ওই জমিতে পাকা ও আধা পাকা বসতবাড়ি নির্মাণের অনুমতি প্রদান করেছে। বর্তমানে সেখানে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেছেন ইজারা প্রাপ্তরা। পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক দপ্তরের সার্ভেয়ার হাল রেকর্ডের তথ্য গোপন করে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে।
তিন অভিযোগ করে বলেন, সার্ভেয়ারের প্রদত্ত প্রতিবেদন যাচাই বাছাই না করে জেলা প্রশাসক দপ্তরের রাজস্ব শাখা কয়েক কোটি টাকা মুল্যের এই জমি ইজারা প্রদান করেছে। অনুমোদনের দুই বছর পর জমির লীজমানি দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম বলেন, বর্তমান সরকার যখন খাস জমিতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভুমিহীনদের বসতবাড়ি নির্মান করে দিচ্ছে সেই সময় স্বচ্ছল ও ধনী ব্যক্তিরা কিভাবে কয়েক কোটি টাকার এই সম্পদ হাতিয়ে নিল? তিনি অবিলম্বে এই ইজারা বাতিল করে ভুমিহীনদের বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে ইজারা পাওয়া জমির মালিকদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাঁরা রাজি হননি।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখার সার্ভেয়ার সালজার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি ছুটিতে রয়েছি সে কারনে বিষয়টি সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়া সম্ভব নয়। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন এবং সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত