আদমদীঘিতে এক পসলা বৃষ্টি হলেই সড়কে হাটুপানি

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ৮ মে ২০২১, ১৯:১০ |  আপডেট  : ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৭

দেখে মনে হবে এটা কোন খাল বা পুকুর জলাশয়। না এটা কোন পুকুর খাল জলাশয় নয়, এটা বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের এক সময়ের সুনামধন্য কেশরতা গ্রামের লোকজনদের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক। কেশরতা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ২০০ মিটার সড়কটি গ্রামের কয়েকটি পরিবারের জাঁতাকলে পড়ে বর্তমানে এক পসলা বৃষ্টি হলেই হাটুপানি জমে যায়। ইতিপূর্বে কয়েক দফা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।

জানা যায়, উপজেলা সদরের কেশরতা গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ থেকে প্রায় ২০০ মিটার পশ্চিমে গ্রামের একমাত্র প্রধান সড়কের পার্শ্বে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না রেখেই ওই গ্রামের প্রভাবশালী বীরমুক্তিযোদ্ধা দিলবর আলী শেখ জোড় পূর্বক মেইন সড়কের উপরে বাড়ি নির্মাণ করে। এরপর পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে একই গ্রামের আকবর আলী শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম শেখ তার জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি পার্শ্ববর্তী ফেরদৌস আলী শেখের জমিতে গিয়ে পানি নামে। ফেরদৌস আলী শেখ তার জমিতে পানি নামতে দিবে না বলে সড়কের উপর মাটি দ্বারা ভরাট করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়। এব্যাপারে গ্রামের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলেও একাধিক বার বৈঠক করেও তার সমাধান করতে পারেনি। চলতি বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই ফেরদৌস আলী শেখ পুনরায় ওই সড়কের উপর মাটি দ্বারা উঁচ করে বেঁধে দিলে পানি নিষ্কাশনের পথ আবারোও বন্ধ হয়ে যায়। 

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত