আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন আইডিয়ালের মুশতাক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:০৪ | আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১১
কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
এ সময় গভর্নিং বডির দাতা খন্দকার মুশতাক আহম্মেদ এবং মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় ৪ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ছয় মাসের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি শেষে তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন এবং ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। এরপর গুলশান থানা মামলাটি এজহার হিসেবে গ্রহণ করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে তাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর মুশতাক তাকে কু-প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবেন বলে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা করছি বলে মুশতাককে তার রুমে ডেকে নেন এবং ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
এ বিষয়ে বাদী ২ নম্বর আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তিনি কোনও সহযোগিতা করেননি বরং মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ওই শিক্ষার্থীকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন, আসামি ভুক্তভোগীকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত