আজ ভয়াল হিরোশিমা দিবসের ৭৭তম বার্ষিকী
প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪০ | আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১৮
১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় নামের নিউক্লীয় বোমা ফেলে এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাট ম্যান নামের আরেকটি নিউক্লীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
অনুমান করা হয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ লোক মারা যান। নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোক মারা যান এবং পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২১৪,০০০ জন। জাপানের আসাহি শিমবুন-এর করা হিসাব অনুযায়ী বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনায় ধরে হিরোশিমায় ২৩৭,০০০ এবং নাগাসাকিতে ১৩৫,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ।
জাপান আত্মসমর্পণের পেছনে এই বোমাবর্ষণের ভূমিকা এবং এর প্রতিক্রিয়া ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে অধিকাংশের ধারণা এই বোমাবর্ষণের ফলে যুদ্ধ অনেক মাস আগেই সমাপ্ত হয়, যার ফলে পূর্ব-পরিকল্পিত জাপান আক্রমণ সংঘটিত হলে উভয় পক্ষের যে বিপুল প্রাণহানি হত, তা আর বাস্তবে ঘটেনি। অন্যদিকে জাপানের সাধারণ জনগণ মনে করে এই বোমাবর্ষণ অপ্রয়োজনীয় ছিল, কেননা জাপানের বেসামরিক নেতৃত্ব যুদ্ধ থামানোর জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছিল।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আজ সেই ভয়াল হিরোশিমা দিবসের ৭৭তম বার্ষিকী। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে জাপানে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে হিরোশিমায় পিস মেমোরিয়াল পার্কের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা ও স্মরণ সভার আয়োজন করে জাপান সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসসহ বিশ্বের ৯৯টি দেশের অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ১২ বছর পর জাতিসংঘের কোনো মহাসচিব হিরোশিমা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। সকাল ৯টায় জাতিসংঘ মহাসচিব জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত