পঞ্চগড়ে উপজেলা নির্বাচন করায় ৮ জন বহিষ্কার

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ১৮:০১ |  আপডেট  : ২০ মে ২০২৪, ১৫:৩৯

পঞ্চগড়ে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদের বক্তব্যের একটি অডিও সুপার এডিট করে তার ৪০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্টের প্রচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকালে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিএনপি নেতা আজাদের ‘গোপন অডিও ফাঁস’ সক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে দলীয়ভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহŸায়ক আবু দাউদ প্রধান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইউনুস শেখ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রনিক, জেলা যুবদলের সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল, ছাত্রদলের সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান জাপানসহ উপজেলা নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, উপজেলা নির্বাচন বর্জন বিষয়ে তাঁর বাড়িতে ১৫ এপ্রিল একটি মিটিং করা হয়েছিল। তাঁকে ও বিএনপিকে হেয় করার জন্য সেখানকার একটি বক্তব্যের কিছু অংশ সুপার এডিট করে প্রচার করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে তা সম্ভব। যার সূত্র ধরে গণমাধ্যেমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের দলের যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের আটজনকে এরই মধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দিন রাত না খেয়ে না ঘুমিয়ে আমরা নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই সময়ে এমন একটি বক্তব্য প্রচার করে আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বড় ধাক্কা দিয়েছে। শুধু আমাকেই নয়, জেলা বিএনপি, এমনকি গোটা বিএনপিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, ‘‘আমার দল উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। এ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দলের সিদ্ধান্ত মেনে অনেকে নির্বাচন থেকে সরে এসেছে। আর যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের দল থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে, তারা আসলে দুকুলই হারাচ্ছেন। দলে জায়গা নেই আবার ভোটে জিততেও পারছেন না। যারা মননোয়ন জমা দিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত মতে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে আমরা চেষ্টা করেছি। অনেকে প্রত্যাহার করেছেন। যারা প্রত্যাহার করেনি, তাদের বিষয়ে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের বাইরে আমার বা অন্য কোন বিএনপি নেতাকর্মীর যাবার কোন সুযোগ নেই।’’

তিনি বলেন, ‘দলীয় সীদ্ধান্তের বাইরে পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ এবং তেঁতুলিয়া উপজেলায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আট নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব আল আমিন ফেরদৌস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, দেবীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তেঁতুলিয়ায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন জনকে বহিস্কার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে বুধবার তেতুঁলিয়া সীমান্তে দুইজন নিরীহ বাংলাদেশিকে বিচার বর্হিভূতভাবে গুলি করে হত্যা করার নিন্দা জানানো হয়। এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে জানান বিএনপি নেতারা।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত