আজোয়া খেজুর চাষ করে সফল হলেন চাষি আবু হানিফা

  নাজমুল হুদা

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:১১ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৪, ১৮:১৪

মরুভূমির চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় উৎপাদিত ফল খেজুর বগুড়ার নন্দীগ্রাম মাটিতে ফলানো অনেকটা কল্পনার মতো। তবে সেই অসাধ্যকে সাধন করেছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আমড়া গোহাইল গ্রামের চাষি আলহাজ্ব আবু হানিফা। তার গাছে এখন বাধা বাধা মরুভূমির আজোয়া খেজুর ঝুলছে। এ বাগানে সাথী ফসল হিসেবে তিনি চাষ করেছে আম, বড়ই ও জাম্বুরা ফলের।

নিজ বাড়ির সাথে পতিত ৯ শতক জায়গায় সারিবদ্ধভাবে লাগানো ১৩টি সৌদির আজোয়া খেজুরগাছ তাকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। গত বছর একটি গাছে অল্প কিছু খেজুর পেলেও এবার দুইটি গাছে বেশ খেজুর ধরেছে। শুধু তাইনা খেজুর বাগানের পাশাপাশি তিনি গত বছরের সংগ্রহ করা বীজ থেকে চারাও তৈরি করছে। আবু হানিফার বাগানে এ খেজুর দেখতে আসে অনেক মানুষ।

খেজুর চাষি আলহাজ্ব আবু হানিফা জানান, হজ করতে গিয়ে সৌদিতে আমি অনেক খেজুর বাগান ঘুরে দেখি। তখনি আমার খেজুর চাষের ইচ্ছে জাগে। পরে আজোয়া জাতের খেজুরের ১৬টি বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। সেই বীজ ২০১৯ সালে মাটিতে রোপণ করি। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে গাছগুলো। সেই গাছগুলোর মধ্যে একটিতে গত বছর অল্প কিছু  ফল ধরেছিলো। এবার দুইটি গাছে ভালো ফল ধরেছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে খেজুরগুলো পরিপূর্ণ ভাবে পেকে যাবে। পরের বছর হয়তো আরো কিছু গাছে ফল আসবে। নিজের বাগান বৃদ্ধি ও চারা বিক্রয়ের জন্য এখন আমি আজোয়া ও মরিয়ম জাতের খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, আমি আবু হানিফার খেজুর বাগানে মাঝে মাঝে যাই। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সব রকমের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সে এখন খেজুরগাছের চারাও উৎপাদন করছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত