আগামী মার্চে উৎপাদনে যাবে রামপাল পাওয়ার প্লান্ট

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৩৮ |  আপডেট  : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫১

খুব শিঘ্রই রামপাল পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুত উৎপাদানে যাবে। আমরা আশা করছি আগামী মার্চ মাসেই এটি সম্ভব হবে। রামপাল পাওয়ার প্লান্টের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।

এর আগে সকালে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছান বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।সরোজমিনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানী (প্রাঃ) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুত বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুঃ মোহসিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, সদস্য মোঃ মাহবুবুর রহমান, পিজিসিবি লিমিডেট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়াসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রকল্প মুল্যায়ন সভায় অংশ নেন সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।

এছাড়া বিকেলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড পক্ষ থেকে স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। প্লান্ট চত্বরে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন বিদ্যুত বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।

মূল্যায়ন সভা শেষে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রামপাল পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণ কাজ থেমে থাকেনি। দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের সার্বিক কর্মকান্ড এগিয়ে চলছে।আশা করি খুব শীঘ্রই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের প্রতিটি অ লে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুত বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করছে। ১৮৩৪ একর জমির উপর এই প্রকল্পটি নির্মান হচ্ছে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত