অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১৪:০৫ |  আপডেট  : ২৪ মে ২০২৫, ১৫:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম) রয়েছেন, তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যদি রাজনীতি ও নির্বাচন করতে চান, তাহলে তারা সরকারে থেকে সেটা পারবেন না। তখন তারা সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন।

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।নাহিদ বলেন, তারা (দুই ছাত্র উপদেষ্টা) গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময়ে সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা যদি রাজনীতি করতে চান, নির্বাচন করতে চান, তাহলে তারা সরকারে থেকে সেটা পারবেন না।

তিনি বলেন, দুই উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক না থাকার পরও তাদেরকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে এক ধরনের অপপ্রচার এবং তাদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যারা গিয়েছে। সরকার থেকে তারা বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কি না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণঅভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের ছাত্র উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবেন। দুজন ছাত্র উপদেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা তার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছিলাম। এটাতো আগস্ট মাসের ঘটনা। এটা যদি আগেই প্রকাশ করা হতো তাহলে জনগণের মনে কোনো ধরনের সন্দেহ তৈরি হতো না। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ পেত না। সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণঅভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা পালন করেছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

‌‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১ ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারো জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টার জন্য আমরা সবাই বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সবাই পালন করে।’

বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে জানিয়ে এনসিপি নেতা বলেন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং তাদের দিয়ে মানবতাবিরোধী কাজের অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান এই সময়ে এসে একটা বিচারের মধ্য দিয়ে, যারা অভিযুক্ত তাদেরকে শায়েস্তা করবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, গুমের অভিযোগ যেসব সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের অবস্থা কি সেটা কিন্তু আমরা জানি না। এই বিষয়গুলা সুস্পষ্ট করলে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসাবে আরও বেশি জনগণের আস্থার জায়গাটা পাবে। আমার সেই আস্থার জায়গায় সেনাবাহিনীকে দেখতে চাই।

এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত