১৭ হাজার কর্মীর জন্য আবেদন বাংলাদেশের, ‘না’ মালয়েশিয়ার
প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৪, ১৮:৩৯ | আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৩
ভিসা পেয়েও ফ্লাইট জটিলতায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৭ হাজারের মতো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দিতে সেখানকার সরকারের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ। কুয়ালালামপুর সরকার এই আবেদনের আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
তবে মালয়েশিয়া সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন বলছেন, তাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা (৩১ মে) আর বর্ধিত হবে না। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইমস এ কথা জানিয়েছে।
খবর অনুসারে, যারা বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের অব্যবহৃত বিদেশি শ্রম কোটা বাতিল হয়ে যাবে। এই দুর্ভাগাদের মধ্যে ১৭ হাজার বাংলাদেশিও রয়েছেন।
নিউ স্ট্রেইট টাইমস বলছে, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি শ্রমিক প্রবেশের জন্য ৩১ মের সময়সীমা অনেক আগে ঘোষণা করলেও কর্মীদের স্রোত নামে গত সপ্তাহে। এতে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জট ছাড়াতে কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত সময় কাজ করার পাশাপাশি আরও লোকবল নিযুক্ত করতে হয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) গত সপ্তাহে বলেছিল, ৩১ মের মধ্যে কয়েক হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ার ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।
বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এ শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দিতে বিশেষ সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার আহ্বান জানান। এমনটি জানায় নিউজ আউটলেট ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে (এফএমটি)।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ থেকে এ শ্রমিকদের ভিসা অনুমোদন করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিসার পর বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে তাদের বৈধ কার্ড দেওয়া হয়। এ শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কুয়ালালামপুরে চাকরি পাওয়ার ওপর, যোগ করেন তিনি।
বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম ও প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হবে। তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে খবরে জানানো হয়েছে। তবে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশ নিয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন বলেন, বিদেশি কর্মী আনার জন্য নিয়োগকর্তাদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল।
মালয় ভাষার সংবাদপত্র বেরিতা হারিয়ানের খবর অনুসারে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা যৌক্তিক ছিল। এ মুহূর্তে আমরা বাড়াতে চাইছি না।
তিনি বলেন, যখন (জানুয়ারি) তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়, তখন আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা ও ফ্লাইট টিকিট ব্যবস্থা করার জন্য কোটার অনুমোদন থেকে শুরু করে সব প্রক্রিয়া বিবেচনা করেছিলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮ থেকে ৩১ মে-র মধ্যে ২০ হাজারের বেশি বিদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেন। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখেছি, তাদের ভিসা গত নভেম্বরে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, যদি নিয়োগকর্তাদের সত্যিকার অর্থেই বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন থাকে, ভিসা অনুমোদন দেওয়া হয়, টিকিট থাকে, তবে তাদের আরও আগে আসা উচিত ছিল। ৩১ মে পর্যন্ত অপেক্ষা কেন?
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত