সড়কের বেহাল দশা, চরম দুর্ভোগে মানুষ
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ১৮:৪২ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৪
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে সাধারন মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে সড়কের কোন প্রকার সংস্কার না হওয়ায় সড়কের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যাছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে দু’ একটি সড়ক ছাড়া পৌরসভার সবগুলো সড়ক চলাচলের অযোগ্য।
সরেজমিন শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সান্তাহার রেলগেট থেকে শুরু করে হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে সাইলো পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার, সান্তাহার-নওগাঁ সড়ক থেকে পৌরসভা অফিস হয়ে হবির মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক এবং সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের পূর্বশা সিনেমা হলের সামনের সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। এই তিনটি সড়কের অধিকাংশ জায়গার পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সবগুলোতে পানিতে ভরে যায়। এতে
করে মানুষ ও যানবাহন চলাচেলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর দীর্ঘ সময় পানি আটকিয়ে থাকে। এতে করে নোংরা পানি ও ময়লা পার হয়ে যাতায়াত করে মানুষ। সান্তাহার রেলগেট থেকে সাইলো সড়ক পর্যন্ত এক কিলোমটার সড়ক দিয়ে হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। পাশাপশি একই সড়ক দিয়ে সান্তাহার ইউনিয়ন ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে।
ভাঙাচুড়া এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে শিক্ষার্থী ও মানুষজনকে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়।
হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রুমানা জাহান বলেন, দুই বছরের ও বেশি সময় ধরে সড়কের এই বেহাল অবস্থা। অনেক কষ্ট করে আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ওই পথে চলাচলকারি অটোরিক্সা চালক জনি হোসেন বলেন, উপজেলার কোথাও এত খারাপ সড়ক নেই। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নে বসবাস করলেও সান্তাহার পৌসভার চেয়ে আমাদের ইউনিয়নের সড়ক অনেক ভাল। বাংলাদেশের কোন পৌরসভায় এত দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক সংস্কারবিহীন অবস্থায় আছে বলে আমার মনে হয় না। এদিকে সান্তাহার-নওগাঁ সড়ক থেকে পৌরসভা অফিস হয়ে হবির মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের একই অবস্থা। মহিলা কলেজের মুল ফটকের পাশে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন সড়কের ওপর পানি জমে থাকে এবং সড়কের বেশির ভাগ জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দের।
সান্তাহার থেকে ছাতিয়ানগ্রাম, তিলকপুর ও আক্কেলপুরে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে অসংখ্যা যানবাহন। চরম দুর্ভোগ নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে যানবাহন। সান্তাহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশল রেজাউল করিম জানান, সান্তাহার পৌরসভা এলাকায় মোট পাকা সড়কের পরিমান ৪২.৫ কিলোমিটার এবং ক্ষতিগ্রস্থ পাকা সড়কের পরিমান প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কারের জন্য গত অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল কিন্তু কোন অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। চলতি অর্থ বছরে আবারো ওই সকল সড়ক সংস্কারের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে । সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, সরকার উন্নয়ন খাতে অর্থ বরাদ্দ না আসায় সড়কগুলোর কোন প্রকার সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ পাওয়া গেলে দ্রুত সড়কের সংস্কার করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত