স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধন: প্রথমবারের মতো নেয়া যাচ্ছে ৫জি অভিজ্ঞতা
প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:২১ | আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২
দেশের ব্যবহারকারীদের আধুনিক স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার দেখার ও কেনার সুযোগ করে দিতে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০২২’।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। আজ বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এর চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন, অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং, ট্রানশন বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক, ভিভো বাংলাদেশ এর সেলস ডিরেক্টর শ্যারন ওয়েন, রিয়েলমি বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিম শাও, স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এর কান্ট্রি ম্যানেজার হোয়ানসাং উ, ডিএক্স গ্রুপ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও দেওয়ান কানন এবং মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এ আয়োজনে প্রথমবারের মতো ৫জি অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ থাকছে আগ্রহী সকল দর্শকদের জন্য। এ অভিজ্ঞতা টেলিটক বাংলাদেশের স্টল থেকে যে কেউ নিতে পারবেন। এছাড়া এটা গর্বের সঙ্গেই বলতে পারি যে এ আয়োজনে যুক্ত হওয়া স্মার্টফোনগুলো বেশির ভাগের উৎপাদনই বাংলাদেশে হচ্ছে।’ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তির খাতের সঙ্গে যুক্ত থেকে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী চিন্তায় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। সে পথে এগিয়ে গেলে আশা করছি আমরা আরো বহুদূর যেতে পারবো। তিনি এ আয়োজনে সকলের জন্য প্রথমবারের মতো ৫জি অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযাগ করে দেয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, গত ১২ ই ডিসেম্বর আমরা বাংলাদেশে ৫জি চালু করেছি এবং আজ ৬ই জানুয়ারি, স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ২০২২ এ বাংলাদেশের মানুষ প্রথমবারের মতো এখানে সরাসরি ৫জির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছে। এজন্যে আমি টেলিটক ও হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। এছাড়া একটা আশার বিষয় হচ্ছে ২০১৯ সালে আমি দেখেছি যে হুয়াওয়ের টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে ৫,০০০ এর বেশি পেটেন্ট রয়েছে। বাংলাদেশে আমরা সেগুলোর কার্যকরী ব্যবহার করতে পারব।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এর চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে দারুণ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মোবাইল ব্যবহারকারী যেমন অনেক বেড়েছে তেমনি টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের সহযোগী হিসেবে উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় ২জি থেকে শুরু করে ৫জি পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রমে আমরা থাকতে পেরে আনন্দিত। বিনিয়োগ দক্ষতার দৃষ্টিকোণ থেকে, ডিজিটালাইজেশন এবং টেলিকম-আইসিটিতে বিনিয়োগ আইসিটির অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের চেয়ে ৬.৭ গুণ বেশি কার্যকরী। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মোবাইল যোগাযোগের অভুতপূর্ব উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে এবং এক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ ফাইভজি টুবি ইউজ কেস উন্মোচন করবো এবং স্থানীয় সমাজে ফাইভজি বিস্তারে সহায়তা করবো।
মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান বলেন, আমরা আনন্দিত আবারও সকলের জন্য এ মেলার আয়োজন করতে পেরে। এবার বিশেষ ভাবেই মেলায় প্রথমবারের মতো ৫জি অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ থাকছে। এ নিয়ে ৩৫টি মেলার আয়োজন করেছি আমরা এবং আমরা সবসময়ই চাই দর্শকদের নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতা দিতে। নতুন সব স্মার্টফোন আর ট্যাবের খবরাখবর আর নানা পণ্যের সঙ্গে অফার আর উপহারও থাকছে বিভিন্ন স্টলে। সকলকে এ আয়োজনে আসার আমন্ত্রণ থাকলো।
উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি স্যামসাংয়ের নতুন ৫-জি ফ্লাগশিপ এস-২১এফই মডেলের মোবাইলের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলায় দর্শকরা ঢুকতে পারবেন বিনামূল্যে। তবে মাস্ক না পড়া অবস্থায় কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা মেপে তা গ্রহণযোগ্য হলেই প্রবেশ করা যাবে মেলায়।
সবসময়ের মতো এবারও দেশের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাব পরখ করে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন এই মেলায়। স্যামসাং, অপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে এখানে। এছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও এক্সেসরিজ নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন।
মেলায় দেশে প্রথমবারের মতো সবার জন্য ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের পরিচালনায় ও হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এই জোনে এসে দর্শকরা সরাসরি ৫জি অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন।
এবারের মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে মোবাইল ব্যান্ড স্যামসাং, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, টেকনো ও ডিএক্স। মেলার টেকনলজি পার্টনার হুয়াওয়ে। লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে ই-কুরিয়ার।
প্রদর্শনীর সব আপডেট ও খবর মেলার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ (www.facebook.com/STExpo/) এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শীর্ষ নিউজ পোর্টাল টেকশহরডটকমে (techshohor.com) পাওয়া যাবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত