স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি

  প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫৯ |  আপডেট  : ৮ মে ২০২৪, ২২:১৬

আজ ২৫ অক্টোবর ২০২৩ (বুধবার) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে এমপিও নীতিমালার শর্ত সমূহ শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ দবিরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ২০২১ সালে বলেছিলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়া হবে।” কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২২ সালে কোন আবেদন নেয়া হয়নি। ২০২৩ চলে যাচ্ছে, যদিও আবেদন নেয়ার কথা ছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত তা নেয়া হচ্ছে না। ২০২৩ সালে যদি আবেদন না নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০—২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না। গত ১৪ আগস্ট ২০২৩ইং তারিখে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে নন—এমপিও শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা চিন্তা করে বিশেষ বিবেচনায় ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন। গত ১৭/১০/২০২৩ইং তারিখে বিশেষ বিবেচনায় আরো ৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সকল নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক—কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনকে সামনে রেখে এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সকল শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন—এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে আপনার সরকারের প্রতিশ্রম্নতি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।

পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মনিমুল হক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারেন, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে বানাতে পারেন, পদ্মা সেতু বানাতে পারেন, নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাতে পারেন, স্যাটেলাইট পাঠাতে পারেন, কাজেই আপনি অবশিষ্ট নন—এমপিও শিক্ষক—কর্মচারীদের এমপিওভুক্তও করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নন—এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন বাবুল, মোঃ জহুরুল ইসলাম রাজু, এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ আলতাব মাহমুদ, অধ্যক্ষ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন, প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, হাবিবুর রহমান বাবুল, বাবুল আক্তার, মোঃ নাইম হোসেন, মোঃ শহিদুল্লাহ, সুপার তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক নুরুল আমিন নওয়াব, খায়রুল ইসলাম, প্রভাষক শামসুন্নাহার, প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন খান প্রমুখ।

 

কা/আ

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত