সীতাকুণ্ড ট্র্যাজিডি ও একটি অভিনব মামলা
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২২, ১১:৩৯ | আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩
প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় একটি গল্প পড়েছিলাম। সে সময় বাংলা বইয়ের পাশাপাশি ‘দ্রুত পঠন’ নামে, একটি গল্পের বইও পাঠ্য থাকত। ক্লাস টু বা থ্রির দ্রুত পঠন বইয়ে গল্পটি পড়েছিলাম। গল্পটির নাম ‘দোষ কার মার খায় কে’। এক কৃষকের একটি বানর ও একটি ছাগল ছিল। প্রতিদিন সে ওই দুটোকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যেত। বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার পোটলা বেঁধে নিয়ে যেত। একদিন বানরটি সব খাবার খেয়ে ফেলল। তারপর এঁটো হাত মুছল ছাগলের মুখে। ছাগলটির মুখ এবং থুতনির দাড়িতে ভাত-তরকারির এঁটো লেগে রইল। পরিশ্রান্ত কৃষক খেতে এসে দেখে খাবার নেই। চেয়ে দেখে ছাগলের মুখে এঁটো। সে ভাবল ছাগলই সব খাবার খেয়েছে। সে ছাগলটিকে বেদম প্রহার করতে লাগল। তা দেখে গাছের ডালে বসা বানর হাততালি দিয়ে বলতে লাগল ‘দোষ করে কে আর মার খায় কে’। যখন গল্পটি পড়েছি তখন এর মর্মার্থ সেভাবে অনুধাবন করতে পারিনি। পরবর্তীতে বুঝেছি, গল্পটির সারকথা হলো খারাপ মানুষেরা নিজেদের অপকর্মের দায়ভার নীরিহ মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে বসে থাকে। বৃহস্পতিবারের (০৯ জুন) দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনেটেইনার ডিপোর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার বিবরণ পাঠ করার পর আমার ওই গল্পটির কথাই বারবার মনে পড়ছে। খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার তিনদিন পরে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাতে আসামি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কয়কজন কর্মকর্তা কর্মচারীকে; দুর্ঘটনায় যাদের প্রাণ এখন যায় যায়। ডিপোটির মূল মালিকদের কাউকেই আসামি করা হয়নি। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে ডিপোর উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) নূরুল আক্তারকে; বিস্ফোরণে যার একটি হাত উড়ে গেছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অগ্নিকান্ডের রাতে তিনি বাসায় ছিলেন এবং খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টায় রত হয়েছিলেন। ২ নম্বর আসামি খালেদুর রহমান, তিনি বিএম কনটেইনার ডিপোর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)। দুর্ঘটনার সময় তিনিও বাসায় ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সহকর্মীদের নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। আগুনে তার শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার অপরাপর আসামিরা সবাই বিএম কনটেইনার ডিপোর বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সচেতসন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, দুর্ঘটনা কবলিত প্রতিষ্ঠানের মূল মালিকদের বাদ দিয়ে বেতনভোগী কর্মচারিদের ওপর কেন মামলার খড়গ নেমে এলো? বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলেছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এই মামলাকে ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ প্রবাদের বাস্তব উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন। কী কারণে পুলিশ মালিক পক্ষকে আড়ালে রেখে সব দোষ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘাড়ে চাপানোর এই স্থুল কসরতে প্রবৃত্ত হলো তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী একটি দৈনিককে বলেছেন, ‘এটি কোনোভাবেই অবহেলায় মৃত্যু নয়। এটি হত্যাকাণ্ড। মালিক পক্ষকে আসামি না করে এখানে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যখন আগুন লেগেছে তখন কর্মচারীরা মালিককে নিশ্চয় জানিয়েছেন। কিন্তু মালিক পক্ষ কি ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থাকে ডিপোতে রাসায়নিক থাকার বিষয়টি অবহিত করেছিলেন? ডিপাতে যে রাসায়নিক ছিল এগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করার মতো প্রশিক্ষিত জনবল কি তারা রেখেছিলেন? তাহলে কেন মালিক পক্ষকে আসামি হবে না? অতীতে রানা প্লাজা ও হাসেম ফুডসহ বিভিন্ন কারখানায় আগুনে প্রাণহানির ঘটনায় কেন মালিক পক্ষকে আসামি করা হয়েছিল? তারাও তো ঘটনাস্থলে ছিলেন না।’ অন্যদিকে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল করিম বলেছেন, মামলাটিতে ডিপোটি পরিচালনায় দুর্বল ব্যবস্থাপনা, কর্তব্য কাজে অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। একই বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রাশেদুল হক পত্রিকাটিকে বলেছেন, মামলা মাত্র হয়েছে। মামলার তদন্তও শুরু হয়েছে। সরকারও তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ (সমকাল, ০৯ জুন, ২০২২)
পুলিশের বক্তব্যে কতটুকু ভরসা করা যায় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা, শুরুতেই মালিক পক্ষকে যেভাবে চোখের আড়ালে রাখার চেষ্টা হয়েছে, তাতে এ সন্দেহ অমূলক নয় যে, শেষ পর্যন্ত তারা হয়তো জালের বাইরেই থেকে যেতে পারে। যেখানে একটি বাস দুর্ঘটনা বা ল ডুবির ঘটনায় মালিক পক্ষ মামলার আসামি হয়, সেখানে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর তারা কীভাবে মামলার বাইরে থাকতে পারেন? পুলিশ কেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মালিক পক্ষকে বাদ দিয়ে নীরিহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল আসামি বানিয়ে দিল তা অতিশয় রহস্যময় ব্যাপার। অনেকইে সন্দেহ করছেন, পর্দার আড়ালের কানো সমঝোতার প্রতিফলন এটা। পুলিশের এমন অভিনব মামলা দায়েরের ফলে এ সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
সীতাকুণ্ড ট্র্যাজিডির এক সপ্তাহ পার হয়েছে। কিন্তু সেই ভয়াবহ ঘটনার রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। বেসরকারি ওই কন্টেইনার ডিপোতে প্রাণ সংহারি অগ্নিকান্ডের ঘটনা দেশবাসীকে শোকাচ্ছন্ন এবং হতবিহ্বল করে দিয়েছে। গত ৪ জুন রাতে সংঘটিত ওই সর্বগ্রাসী অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৪১ জন আদম সন্তান। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। যদিও প্রথম দিন সংবাদপত্রগুলো চারজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল। তবে সময় গড়িয়ে যাবার সাথে সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট টানা ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টা করেও স আগুন নেভাত পারেনি। তিনিদিন পরেও ডিপোতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। মূলত ওই কন্টেইনার ডিপোতে অতিশয় দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুদ থাকায় আগুনের ভয়াবহতা ছিল হৃদকম্প সৃষ্টিকারী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধমের খবরে বলা হয়েছে, হঠাৎ প্রচন্ড বিস্ফোরণে দুর্ঘটনাস্থলের কয়েক মাইল এলাকা ভূমিকম্পর মতো কেঁপে উঠেছিল। এরপর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। খবরে বলা হয়েছে, আমদানিকৃত এবং রপ্তানির অপেক্ষায় মজুদ কেমিক্যালের কন্টেইনার থেকেই এই আগুনের সৃষ্টি। তবে কেন কী কারণে এই প্রাণঘাতি অগ্নিকান্ড তা এখনও জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সে কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে বিষয়টি পরিস্কার হবে। তবে এটা ইতোমধ্যেই পরিস্কার হয়ে গেছে যে, ওই কন্টেইনার ডিপোর মালিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতা এই দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী।
বিএম কন্টেইনার ডিপো একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী গ্রুপ স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আল রাজী কমিক্যাল লিমিটেড। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ ঠান্ডাছড়ি এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। রপ্তানির জন্য সে দাহ্য রাসায়নিক পণ্য এনে রাখা হয়েছিল ওই গ্রুপেরই আরেক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিএম কন্টেইনার ডিপোতে। তাছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানটি সোডিয়াম সালফেট, সরবিটল, কস্টিক সোডা উৎপন্ন করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, কন্টেইনার ডিপোটিতে ওইসব কেমিক্যালও মজুদ ছিল। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ডিপোতে বিস্ফোরক এনে জমা করা হলেও তার জন্য কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না। চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন একটি পত্রিকাকে বলেছেন, ডিপোর কাজ কনটেইনার লোড আন-লোড করা। কোনো রাসায়নিক মজুদ করার সুযোগ নেই। তারা রাসায়নিক মজুদ করেছে, সেটা আমাদের জানায়নি। আমাদের কাছ থেকে কানো লাইসেন্সও নেয়নি। অন্যদিকে স্মার্ট গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মেজর শামসুল হায়দার সিদ্দকী (অব.) বলেছেন, তিনি ঢাকা থেকে সেখানে গেছেন, লাইসেন্স আছে কি নেই তা জানতে হবে। (সমকাল, ৬ জুন, ২০২২)।
কথা উঠেছে আগুন নেভানোর পদ্ধতি নিয়েও। সাধারণত হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মতো অতিদাহ্য রাসায়নিকে সৃষ্ট আগুন নেভাতে পানি ব্যবহার করা হলে আগুনের ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কুমিল্লার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ডিপো কর্তপক্ষ তাদেরকে জানায় নি যে, ডিপোতে রাসায়নিক ভর্তি রয়েছে। ফলে সাধারণ আগুন মনে করে তারা পানি দিয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করেন। এর ফলে আগুন না নিভে তা বিস্ফোরণে গড়ায় এবং ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি পায়। এ ধরনের কেমিক্যাল থেকে সৃষ্ট আগুন নেভানোর জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার তা করা হয়নি।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ডিপোটিতে রাসায়নিক মজুদ করার কোনো অনুমতি কোম্পানিটির ছিল না। এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান কোনোরকম লাইসেন্স ছাড়্ইা বছরে পর বছর কী করে অবৈধভাবে রাসায়নিক মজুদ করে আসছিল তা ভেবে দেখার বিষয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখন যতই বলুন বিষয়টি তাদের নলেজে ছিল না, তা গ্রহণ যোগ্য হবে না। ডিপো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখলেও বিস্ফোরক পরিদর্শন কর্তৃপক্ষ কেন ঘুমিয়েছিলেন? তাদের কাজ কী? একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নাকের ডগার ওপর দিয়ে অবৈধভাবে রাসায়নিক মজুদ করে গেল, আর তারা কুম্ভকর্ণের মতো নিদ্রামগ্ন থাকলেন, এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। অভিযোগ রয়েছে কল-কারখানা পরিদর্শন তাদের কাজ হলেও তারা সেটা করেন না। অধিকাংশ সময় তারা অফিস বসেই কাগজ-কলমে পরিদর্শন সম্পন্ন করেন। এর পেছনে যে কারণটি রয়েছে তা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার পড়ে না। উভয় পক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক এখানে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলতে থাকে। কিন্তু যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখনই বেরিয়ে পড়ে থলের বেড়াল। বেরিয়ে আসে নানা চা ল্যকর তথ্য। যেমন সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনার পর জানা গেল এতবড় একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কোনো লাইসেন্সই ছিল না। এটা কেমন করে সম্ভব তা সচেতন ব্যক্তিরা ভেবে পান না। তবে কথায় আছে বাংলাদেশ হলো সব সম্ভবের দেশ। এখানে লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা করা যায়, গাড়ি চালানো যায়, কারাখানা করা যায়। শুধু জায়গা মতো যথা নিয়মে শিরণী দিলেই চলে।
বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকান্ডের ঘটনয় মালিক পক্ষ যে সর্বাংশে দায়ী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাসায়নিক ও বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও তা মজুদ করে তারা আইন লঙ্ঘন করেছেন। অথচ পুলিশ তাদের রেখেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কী কারণে পুলিশ তাদের গায়ে আঁচড় লাগতে দিচ্ছে না তা অবশ্য পরিস্কার নয়। তবে অনেকে সন্দেহ করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিধায় তিনি দলীয় ও সরকারি প্রভাব খাটিয়ে থাকতে পারেন। যদি সেটাই হয়, তাহলে ‘আইন সবার জন্য সমান’ কথাটি আমাদের আর মুখে আনা উচিত হবে না।
লেখকঃ সাংবকাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত