সিলেটে তেলের সন্ধান: বাণিজ্যিক উত্তোলনে লাগবে অন্তত ৫ মাস 

  গ্রামনগর বার্তা অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:১৩ |  আপডেট  : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯

ফাইল ছবি

সিলেটের গ্যাসকূপে পাওয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে প্রাথমিক পরীক্ষায় কেরোসিন, ডিজেল ও পেট্রলের ভালো রকমের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই তেল তোলা যাবে ২০ বছর পর্যন্ত। তবে ৫ থেকে ৬ মাসের আগে বাণিজ্যিকভাবে এই তেল উত্তোলন শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

গত শুক্রবার সিলেটের ১০ নম্বর কূপের প্রায় দেড় কিলোমিটার গভীরে তেলের সন্ধান পান চীনা ঠিকাদার সিনোপ্যাকের প্রকৌশলীরা। ২ ঘণ্টায় নিজস্ব চাপে উঠে আসা ৭০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ করা হয়। ১৯৮৬ সালে হরিপুরে পাওয়া তেলের তুলনায় এই কূপের তেলে ঘনত্ব বেশি। প্রতিমন্ত্রী নসরুল জানান, মান পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি ও বুয়েটে। 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘অন্তত বছর ২০ এখান থেকে একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু পুরো বিষয়টা বলা যাবে আরও ৪ থেকে ৫ মাস পরে। তেলের যে অংশটি আছে এটা আমরা তিনটি জায়গায় পরীক্ষা করতে দিয়েছি। বুয়েট, ইস্টার্ন রিফাইনারি ও আমাদের সিলেট গ্যাস ফিল্ডে। আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে আমরা মজুতটা সম্পর্কে বলতে পারব।’ 

দেশের প্রথম তেলের খনি সিলেটের হরিপুরে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে ৭ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল উত্তোলন করা হয়। সাধারণ পদ্ধতিতে উত্তোলন করায় দীর্ঘমেয়াদী সুফল মেলেনি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নতুন কূপে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের তাগিদ তাদের।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘আবিষ্কারের পরে যদি আপনি সেই একটি কূপ থেকেই উৎপাদন সীমিত রাখেন এটাকে আর উন্নয়ন না করেন বা ফারদার ডেভেলপমেন্ট না করেন অন্যান্য কূপ খনন করেন, তাহলে এটা শেষ হয়ে যাবে। চাপ কমে যাবে। এক্ষেত্রে তাই হয়েছে। সিলেটের ৭ নম্বর কূপে আমরা যে তেলটা পেয়েছিলাম, সেটা প্রোপারলি ডেভেলপ করা হয়নি। বর্তমানে ১০ নম্বর কূপে তেলের যে স্তরটা পাওয়া গেছে সেটা ৭ নম্বর কূপের চেয়েও উন্নতমানের।’ 

হরিপুরের ৩৭ বছর পর তেল মিলল সিলেটের ১০ নম্বর কূপে। তাই পুরো অঞ্চলেই তেলের মজুতকে সম্ভাবনাময় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য কূপ খনন ও অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছেন তারা।

কাআ

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত