সিরাজদিখান শেষ হলো ২৪ প্রহরব্যাপী শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন নামযজ্ঞানুষ্ঠান

  লতা মন্ডল-বিশেষ প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৩৫ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৫

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল চরবিশ্বনাথ শ্রী শ্রী হন-গৌরী বাড়ি ধর্মদেব মন্দ্রির প্রাঙ্গনে শেষ হলো বার্ষিক নামযজ্ঞানুষ্ঠান ও উৎসব। মঙ্গলবার সমাপনী দিনে আশ্রম চত্বরে ছিল গ্রামীণ মেলাসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানাদির মধ্যে ছিল গীতা পাঠ, মহানামযজ্ঞের অধিবাস, তারকব্রহ্ম নামসংকীর্তন, রাধাগোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন, কুঞ্জভঙ্গ, মহন্তের ভোগরাগ ও অপরাহ্নে প্রসাদ বিতরণ। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. সোহানা তাহমিনা, সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজদিখান উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ, বাসাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম টিটু, সিরাজদিখান উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সুব্রত দাস রনক, আয়োজক কমিটির সভাপতি পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার মন্ডল, সমন্বয়কারী হরিষ চন্দ্র মন্ডল, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাসাইল যুবলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম মনু, আক্তারুজ্জামান দুলু প্রমুখ। আ

য়োজক কমিটির সভাপতি পবিত্র চন্দ্র ঘোষ বলেন, কীর্তন বাংলা সংস্কৃতি ও বাংলা সঙ্গীতের অন্যতম আদি একটি ধারা। গানের মাধ্যমে ধর্মচর্চা আর ঈশ্বকে আরাধনার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামবাংলার সর্বত্র চলে আসছে। ভগবান দুষ্টের দমনে সৃষ্টির লক্ষ্যে ধর্ম রক্ষার্থে যুগে যুগে মর্ত্যে আবির্ভূত হয়েছেন। ভগবানের আবির্ভাব কালের গুনাবলী আর লীলা নিয়ে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে (খোল, কর্তাল, বাঁশি আর হারমোনিয়াম) যে গান পরিবেশন করা হয় তাই কীর্তন। মানবজাতি অতি সহজে ঈশ্বরের সাধনা বা ঈশ্বরকে ভজন করার একটি উপায হিসেবে এ কীর্তনের উদ্ভব। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলার বৈষ্ণবধর্মজাত সঙ্গীতধোরার বিকশিত রূপই কীর্তন। কীর্তন দুপ্রকার নামকীর্তন বা নামসংকীর্তন এবং লীলকীর্তন বা রসকীর্তন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত