সিরাজদিখান-রাজদিয়া-মালখানগর সড়ক খানাখন্দে ভরা
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১৮ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২
মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান-রাজদিয়া-মালখানগর সড়কের মালখনগর ডিগ্রী কলেজ থেকে সিরাজদিখান উপজেলার থানা মোড় পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের অভাবে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির পুরো অংশজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। পথচারীদের হাঁটাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান উপজেলার থানা মোড় থেকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সিরাজদিখান বাজার হয়ে সড়কটি মালখনগর জোড়পুলে মিলেছে।
সিরাজদিখান উপজেলা সদর থেকে সিরাজদিখান-রাজদিয়া-মালখানগর পর্যন্ত পাকা সড়কটির দৈর্ঘ্য সারে ৭ কিলোমিটার। সড়কটির প্রায় সারে ৭ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করা হয় ২০০৫ সালে। এরপর আর রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরা এ রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস,ট্রাক, নসিমন, ভটভটি, অটোবাইক ও ভ্যান,রিক্সা চলাচল করছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে মাঝেমধ্যেই। উপজেলার রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় আমামাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের ও এলাকাবাসীর চলাচলে করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্ছা স্কুলে যাওয়া আসার সময় ও এলাকার হাট-বাজারগুলোতে কৃষিপণ্য আনা-নেয়া করতে মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন বেশি। এ রাস্তা দিয়ে হাঁটাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বর্ষায় কাদা মাড়াতে হয়, আর শুকনো মৌসুমে ধুলায় একাকার।
আটো চালক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, এ রাস্তা দিয়ে অটো চালাতে গিয়ে গা-হাত-পা ব্যথা হয়ে যায়। অটোর কল-কব্জা খুলে পড়ে। প্যাসেনঞ্জারদেরও খুব কষ্ট হয়। এ রাস্তা কবে ঠিক হবে আল্লাহই জানে, ক্ষোভের সুরে কথাগুলো বলেন উপজেলার টেংগুরিয়াপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক নাজমুল ইসলাম। আজ সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির রাজদিয়াা অংশে রাজদিয়া অভয়পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও আব্দুল জব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য স্থানে খানাখন্দে সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ইট পর্যন্ত উঠে দিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলছে।
সিরাজদিখান উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, সিরাজদিখান-রাজদিয়া-মালখানগর সড়কটির পাকা ও প্রশস্ত করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী অর্থবছরে সড়কটির সংস্কারসহ প্রশস্ত করণ কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত