পঞ্চগড়ে অবৈধভাবে সার মজুদের অভিযোগে কারাদণ্ড ওজরিমানা
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৪ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১৪
পঞ্চগড়ে অবৈধভাবে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (পটাশ) সার মজুদ ও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে এক দালালকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। একই অভিযোগে একজন ব্যবসায়িকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আল মামুন নামে ওই দালালকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মের্সাস নূর নবী মজুমদার ট্রেডার্সের ম্যানেজার আইয়ুব আলীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন যৌথবাহিনী পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত। বোদা সদর ইউনিয়নের নাসির মন্ডল হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বোদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসির মন্ডলহাট বাজারের কয়েকটি স্যারের দোকান ও গুদামে অবৈধভাবে সার মজুদ করার অভিযোগ পেয়ে সৈয়দপুর সেনানিবাসের ২৯ বীরের ক্যাপ্টেন ইনজামামের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আল মামুন নামে এক দালালের গুদামে মজুদ রাখা ২৫ বস্তা টিএসপি ও ২৫ বস্তা পটাশ সারের সন্ধান মেলে। পরে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১২(১) ধারায় অভিযুক্ত করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
পরে একই বাজারের মেসার্স নুরনবী মজুমদার ট্রেডার্সের গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অবৈধভাবে ২০ বস্তা টিএসপি ও ২০ বস্তা পটাশ সার মজুদ করে রাখায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আইয়ুব আলীকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৬(১) ধারায় অভিযুক্ত করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। পরে অভিযান স্থলে দুই লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া, ব্যবসায়ী আল মামুনকে বোদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী, উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, বোদা থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, আল মামুন দালাল হিসেবে সারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। সে কোন ব্যবসায়ী না। ডিলারের কাছ থেকে সার কিনে কৃষকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে আসছিল। ভ্রাম্যমান আদালতে সে নিজের দায় স্বীকার করায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া সারের ডিলার মের্সাস নুরনবী মজুমদার ট্রেডার্সকে বেশি দামে সার বিক্রি ও মজুতের দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে কৃষি বিভাগকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত