সিরাজদিখানে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

  সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪২ |  আপডেট  : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৫

সিরাজদিখান টোলবাসাইল  একটি মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা বোর্ডের নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষা নেওয়া,শিক্ষকদের নিকট টাকা চাওয়া,ছুটি না নিয়ে ছুটি কানানোসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাসাই ইউনিয়নের রসুলপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মাওলানা মোঃ শহিদুল্লাহ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ওই মাদ্রাসায় সুপারের পদ শূন্য হলে পরিচালনা কমিটি মাওলানা মোঃ শহিদুল্লাহকে সুপার হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পাওয়ার পর তার পছন্দের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করেন মোঃ শহিদুল্লাহ।

 নতুন কমিটি করে তাদের ভুল বুঝিয়ে এরপর থেকে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে থাকেন। মাদ্রাসার একটি সূত্র জানায়, সুপার হুজুর নিজের ইচ্ছে মতন মাদ্রায় ছুটি কাটান ,নিজের লোকদের সুযোগ সুবিধা দেন। এ ছাড়া মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষকদের নিকট টাকা চেয়ে,খারাপ ব্যাবহার করে, নিজে স্বেচ্ছাচারিতা করে মাপ চেয়ে পার মেয়ে যান সুপার।  অভিযোগের এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একবার  মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে ছিলেন। সহকারী সুপার মৌলবী মোঃ আবুল কালামের সাথেও তার সম্পর্ক ভালো নেই।

সহকারী শিক্ষক সাইফুল আলম ও সহকারী সুপার মোঃ আবুল কালাম বলেন,আগামী ২৭ নভেম্বর বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা  মাসাদ্রার সুপার ২০ তারিখে নতুন পরীক্ষার রুটিন করে পরীক্ষা নিয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খবর পেয়ে মাদ্রাসায় এসে পরীক্ষা বন্ধ আগামী ২৭ তারিখ পরীক্ষা নিতে বলে আবার ক্লাস ক্লাস নিতে বলেছেন।

এ বিষয়ে সুপার মাওলানা মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, আমি ভুল করেছি, আমি মাফ চাইছি।  এখন পরীক্ষা হচ্ছে না । সহকারী সুপারে সাথে আমার ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনেচ্ছিুক এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষক সাইফুল আলম ও অফিস সহকারী মিনহাজের মাধ্যমেই এসব অপকর্ম করে চলেছেন মাদ্রাসার  সুপার। ওই দজনকে চাপ দিলে সুপারের সকল অপকর্ম বেরিয়ে আসবে। মাদ্রাসার সভাপতি আল্পকিছুদিন হয় সভাপতি হয়েছেন তিনি এসব কিছুই জানেন না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, সুপারের অনিয়ম পরীক্ষা আগে নেওয়ার সম্পর্কে আমি অবহিত।  ২০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ওই মাদ্রাসার পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ তারিখ হতে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। সুপারের স্বেচ্ছাচারীতার প্রমান পেলে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঃ শরীফুল আলম তানভীর বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি।  কারও পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শুনে আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত