সান্তাহার মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউটে সফলতা মিলেছে বাতাসী মাছের কৃত্রিম প্রজননে
প্রকাশ: ২ জুন ২০২১, ২০:২৪ | আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪
দেশের বিলুপ্তপ্রায় ছোট মাছ বাতাসী’র কৃত্রিম প্রজননে সফল হয়েছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে অবস্থিত মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউট। এখানকার প্লাবন ভ‚মি উপ-কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা চমকপদ সফলতা দেখিয়েছেন। সান্তাহার মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউট এবং প্লাবন ভ‚মি উপ-কেন্দ্রের ইনচার্য উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেভিট রেন্টু দাস এই সফলতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেশে এবারই প্রথম বিলুপ্ত প্রায় ছোট মাছ বাতাসীর কৃত্রিম প্রজননে সফলতার ঘটনা ঘটল বলেও দাবী করেন ওই বিজ্ঞানী।
জানা গেছে, দেশে বিলুপ্ত ৬৪ প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় ছোট মাছের কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষনা কাজ চলছে। এর আগে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটউট এর প্রধান গবেষনাগার ময়মনসিংহে নলা মাছের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা মেলে। সান্তাহার উপ-কেন্দ্রের ইনচার্য গবেষক দলের প্রধান ড. ডেভিট রেন্টু দাস বলেন, এক বছর ধরে বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছের কৃত্রিম প্রজনন করা নিয়ে কাজ করে আসছি। বাতাসী’র এই সফলতা বিলুপ্ত বাতাসী মাছ চাষে মাঠ পর্যায়ের চাষিদের মধ্যে বিপুল চাহিদা দেখা দেবে এবং অবিলম্বে এ মাছের প্রাপ্যতা সহজলভ্য হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন। তিনি জানান, ৬ বছর পূর্বের তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশের স্বাদু পানির আড়াই শতাধিক ছোট প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৪টি বিলুপ্ত প্রায়। এর মধ্যে ৩০টি বিপন্ন, ৯টি অতি বিপন্ন এবং ২৫ প্রজাতি বিপণ্যের পথে। বিজ্ঞানী ড. ডেভিট রেন্টু দাস বলেন, বিলুপ্ত প্রায় ছোট মাছ পুনঃরুদ্ধার করার জন্য ব্যাপক গবেষনা কাজ চলছে। বর্তমানে কাজলী, কাকিলা, গাঙ টেংরা, রানী ও পিয়ালীসহ ১৪ প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় ছোট মাছ নিয়ে গবেষনার কাজ চলছে।
কৃত্রিম প্রজননে সফল হওয়া বাতাসী মাছ বিষয়ে এই গবেষক বলেন, এই মাছটি পুষ্টি সমৃদ্ধ। খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম বাতাসী মাছে পটাসিয়াম ৬১০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪০০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ২০০ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩৩ মিলিগ্রাম এবং জিংক সাড়ে ১৪ মিলিগ্রাম আছে। আর জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ কারণে করোনা কালে বেশী করে বাতাসী খেতে পরামর্শও দিয়েছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত