সমালোচনা তো হবেই, আমি সফল: নূরুল হুদা

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৩৮ |  আপডেট  : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশের সবগুলো পরিপূর্ণভাবে শেষ করায় নিজেকে সফল বলে মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

রোববার 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এটা বলেন।

সিইসি বলেন, "আমি মনে করি আমি সাফল্যের সাথে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি।"

সব নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'না সব সুষ্ঠু হয়েছে তা নয়। মারামারি হয়েছে, ব্যালট ছিনতাই হয়েছে আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। আবার পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে তা বলা যাবে না।' 

"তবে শীতের দিনে, রোদের মধ্যে নারী-পুরুষ লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছে, ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, এরচেয়ে সফল নির্বাচন আর কী হতে পারে।"

কমিশনের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, "আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে করতে। কোনো রকমে বা কারও কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি," 

"সমালোচনা তো হবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বভাবিক, এদেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক", যোগ করেন তিনি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। এবং উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততোদিন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা করবেন।  

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন, সেজন্যই তার সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যার ফসল হচ্ছে আজকের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ভুল ভোটার তালিকা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), নির্বাচন কমিশনের আধুনিক অবকাঠামো, জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারন আইন ২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন আইন ২০২২।

এই নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পেরেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ইসি নিয়োগের আইন নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, "সংসদ এই আইন করেছে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আইনের প্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি কাজ করছে। আমরা আশা করব তাদের দায়িত্ব পালনের শেষে সবাই একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পাবে।" 

এছাড়া বিএনপি'র আলোচনায় অংশ না নেওয়াকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই গণতান্ত্রিক না। গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনো পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয় তাহলে আমার মনে হয় জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত