শ্রীনগরে চলছে তালের শাঁস বিক্রির ধুম 

  ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৮ জুন ২০২২, ১১:৩৩ |  আপডেট  : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩২

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অসহ্য গরমের এই সময়ে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। তালের শাঁসে তৃপ্তি মেঠাচ্ছে গরমে হাঁফিয়ে উঠা লোকজন। কাঠ ফাটা গরমে কচি তালের শাঁস বাঙালির এক প্রশান্তিময় খাদ্য। মৌসুমী এই তাল আষাঢ়ি তাল হিসেবেও পরিচিত। এখন জ্যৈষ্ঠের মধু মাস। তালের এখন কচি বয়স। মানে শাঁসের মৌসুম। 

দেখা যায়,  শ্রীনগর উপজেলার শ্রীনগর, পাটাভোগ, বাঘড়া, দক্ষিণ পাইকশা, বালাশুর, আলামিন বাজার, কলেজ , উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে, প্রতিটি হাট-বাজার ও বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে তালের পসরা সাজিয়ে বসেছে। কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ওই মৌসুমী ফল বিক্রিতে মেতে উঠেছে। সেখানে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

শ্রীনগর সরকারি কলেজের সিনথিয়া নামে এক ছাত্রী বলেন, প্রতি বছর জৈষ্ঠ্যমাসে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি কচি তালের জনপ্রিয়তা ও অনেকটা বেড়ে যায়, বিশেষ করে প্রচন্ড গরম পড়লে এই ফলের কদরও বাড়ে। কচি তালের প্রকৃতি অনেকটা নরম ও পানিজাতীয় হওয়ায় এই ফল বেশ সুস্বাদু হয়।

শ্রীনগর বাজারে ষাটোর্ধ্ব বয়সের ক্রেতা খোকা মিয়া বলেন, কালের বিবর্তনে এ উপজেলায় তথা জেলার বিভিন্ন এলাকার তাল গাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তাল গাছ থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তালের শাঁস, তালের রস থেকে গুড় ইত্যাদি আমরা পেয়ে থাকি কিন্তু এ গাছ রোপনের চাইতে বেশি কেটে ফেলা হচ্ছে। 

বাঘড়া এলাকায় কথা হলো তাল বিক্রেতা সাফিনের সাথে তিনি জানান, তালগাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। কাটার জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। তাই কেনা বেশি হওয়ায় তালের শাঁসের প্রতি পিস বিক্রি করছেন ১০-১৫ টাকা করে।

 বালাশুর বাজারে খুচরা বিক্রেতা কমল জানান, আমরা শরিয়তপুর ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করে থাকি। আগামী আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে কচি তাল আসতে পারে। এরপর তালের শাঁস শক্ত হতে শুরু করে। তবে শক্ত শাঁসের তালেরও বাজার ভাল। শক্ত শাঁসের তাল গ্রামীণ অঞ্চলের লোকজনদের কাছে প্রিয়। কারণ এ তাল পাকিয়ে মজাদার তালের পিঠা বানায়। মৌসুমী তালের পিঠাও এ অঞ্চলের লোকজনদের কাছে খুব প্রিয়।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত