শ্রীনগরে আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ২ দফায় সংঘর্ষ, আহত ৩০ 

  নজরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ

প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২১, ১৯:২৫ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৪, ০৭:৩৯

শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ২ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের উপর দোষ চাপাচ্ছে। 

রবিবার দুপুর দুইটার দিকে প্রথম দফায় ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল ইসলামের নতুন বাড়ির সামনে ও দ্বিতীয় দফায় দুপুর পৌনে ৩টার দিকে আজিজুল ইসলামের পুরাতন বাড়ী থেকে ১শ গজ দক্ষিন দিকে ভূইছিদ্র এলাকায় এই এঘটনা ঘটে। প্রথম দফার সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। 

ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ¦ আজিজুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেনের লোকজন মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে আমার বাড়ীর সামনে এসে আমার নারী কর্মীদের নোংরা ভাষায় টিজ করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমার কর্মী অমিত ও অপু সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের ৮টি মোটরসাইকেল আটক করে। আটককৃত মোটর সাইকেল মালিকদের কারো বাড়িই শ্রীনগর নয়। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এই এলাকায় নিয়ে এসেছে। তিনি আরো বলেন ,এই ঘটনার পর পরই তারা পুনরায় আমার লোকজনের উপর হামলা করে। হামলায় আমার কর্মী শাহাবুদ্দিন, স্বপন,মামুন,রফিক,সিয়াম,সবুজ মাদবর,সুলতান,বাবু সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন ও রফিককে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

অপরদিকে এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাই জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, তারা ওই এলাকায় প্রচারণায় গেলে তাদের উপর আজিজুল ইসলামের লোকজন অতর্কিতে হামলা করে। এতে তাদের প্রায় ১৫/১৬ জন কর্মী আহত হয়। এসময় আজিজুল ইসলামের ভাই ফাঁকা গুলি করে। দ্বিতীয় দফায় কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তারা নির্বাচনে সুবিধা নিতে নাটক সাজিয়েছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনাচর্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের কর্মীদের ফেলে যাওয়া ৮টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দেখেছি। এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। 

শ্রীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, দুই পক্ষেরই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। 

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, নির্বাচন আচরণ বিধি বিষয়ে সভা করার পর শুধু ষোলঘর ইউনিয়নেই এমন ঘটনা ঘটেছে। যা অনাকাংক্ষিত। আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। এই ইউনিয়েনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদেরকে সহনশীল আচরণ করার আহবান জানান। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত