শিশু মুনতাহা :গলা টিপে ও বস্তাচাপা দিয়ে হত্যা
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫১ | আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে (৬) হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর)
দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর মুনতাহার বাবা তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় অবহিত করেন। পরে থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে থানায় এজাহার দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তের সূত্র ধরে মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা শামিমা বেগম মার্জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কথা অসংগতিপূর্ণ মনে হলে টার বাড়ির দিকে নজর রাখতে বলা হয়। পরে রোববার ভোররাতে মুনতাহার বাড়ির পাশের একটি খালে মুনতাহার মরদেহ ফেলতে দেখা যায় গৃহশিক্ষিকার মাকে। মরদেহটি দড়ি দিয়ে বেঁধে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিল।
হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন মার্জিয়া ও তার মা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে তাদের ঘরে শিশু মুনতাহাকে গলা টিপে ও বস্তাচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আরও কিছু মানুষের নাম এসেছে। আমরা তাদেরকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শামিমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বেগম ও নানি কুতুবজান বেগম, ইসলাম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন ও নাজমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তারা কানাইঘাটের বাসিন্দা ও শিশু মুনতাহার প্রতিবেশী বলে জানা গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারন জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, মুনতাহা আক্তার জেরিন কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরে মুনতাহা। দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাকে পাননি। পরে রোববার ভোররাতে মুনতাহার বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর সকালে তিন নারীকে আটক করে পুলিশ ও পরবর্তীতে দুপুরে আরও এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত