শনিবার বিকেল নিয়ে যৌথ বিবৃতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৫৪ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ০০:০৬

আলোচিত চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’ এর মুক্তি প্রশ্নে উদ্বেগ জানিয়েছেন শতাধিক সংস্কৃতিকর্মী। মঙ্গলবার [১৫ নভেম্বর] এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীরা লক্ষ্য করছি, সিনেমা-নাটক-সংগীত, শিল্প সংস্কৃতির এমন নানা ক্ষেত্রে, নানা সময় হাজির করা হচ্ছে বহুমুখী বাধা, যা নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন। এ উদ্বেগ আরও বাড়ে যখন দেখি, আমাদের বন্ধু সুহৃদ চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’ বিনা কারণে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকে।

সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি, ১৭ নভেম্বর এই বিষয়ে আপিল কমিটির একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এবং সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আপনারা জানেন, ‘শনিবার বিকেল’ নামের সিনেমাটি বিগত সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেন্সরবোর্ডে আটকা পড়ে আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই ছবিটি দেখেছি এবং বুঝতে অপারগ হচ্ছি কেন এই ছবিটির সঙ্গে এরকম আচরণ করা হচ্ছে। আমরা তাই ছবিটির নির্মাতার হতাশা ও মর্মবেদনা অনুভব করতে পারছি। সারা পৃথিবীতে যখন সেন্সরের ধারণাটি একটি বাতিলযোগ্য পুরনো ধ্যান ধারণা হিসেবে আলোচিত হচ্ছে, ঠিক তখনই আমরা সেন্সর, দীর্ঘসূত্রতা এবং অজানা কোনও কারণে সময়ের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকারের কাজ আটকে রেখেছি।

‘‘এ দেশের নাগরিক ও শিল্পী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বলতে চাই, আমাদের প্রজ্ঞা ও বিবেচনায় এই দীর্ঘসূত্রতা আমাদের ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে এবং সব কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই মুহূর্তে ‘শনিবার বিকেল’ শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র আটকে রাখার বিষয় নয়, এটি সামগ্রিকভাবে দেশীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিতকে অনুধাবন করতে না পারার বাস্তবতা। রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির অচলায়তা এবং সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতাও নির্দেশ করে, যা কাম্য নয়। কর্তৃপক্ষের এধরনের বিরূপ আচরণ আমাদেরকে ব্যথিত করে।’’

‘‘আমরা যেন ভুলে না যাই, ভাষাভিত্তিক জাগরণে বাংলা নামে যে দেশ ৫০ বছর আগে তৈরি করেছি, তার মৌল চেতনা যেকোনও কিছুকে আটকে দেওয়ার পরিপন্থী। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্রসহ যেকোনও শিল্প মাধ্যম যখন প্রতিনিয়ত অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত এবং পুরস্কৃত হচ্ছে। সিনেমাটির সঙ্গে নিজ দেশে এই অন্যায্য আচরণে মনে হয়, সম্ভবত আমরা এই দেশে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বাস করছি।’’

‘‘আপনাদের বোধ এবং প্রজ্ঞার ওপর আমরা এখনও বিশ্বাস, আস্থা হারাইনি। আমাদের কাজ রাজপথে সংগ্রাম করা নয়, বরং একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প ও শিল্পীর ভূমিকাকে জারি রাখা। আমরা ‘শনিবার বিকেল’ এর নিঃশর্ত মুক্তি কামনা করি। আপনাদের সংবেদন ও জলতরঙ্গ দীর্ঘজীবী হোক।’’

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন নাট্য নির্দেশক ও চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ। বিবৃতি দাতারা হলেন- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাইসুল ইসলাম আসাদ, সারা যাকের, সৈয়দ জামিল আহমেদ, শিমূল ইউসুফ, আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সহসভাপতি ছটকু আহমেদ, পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তারিক আনাম খান, চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন, শামীম আখতার, মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, মুনেম ওয়াসিফ, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদুজ্জামান সেলিম, অভিনয় শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, জাহিদ হাসান, তৌকির আহমেদ, পরিচালক ক্যাথরিন মাসুদ, প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আলম।

আরও আছেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চলচ্চিত্রকার জাহিদুর রহিম অঞ্জন, পরিচালক নুরুল আলম আতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ত্রপা মজুমদার, পরিচালক স্থপতি এনামূল করিম নির্ঝর, পরিচালক পিপলু আর খান, পরিচালক গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী, সাংবাদিক নূর সাফা জুলহাজ, প্রযোজক মুশফিকুর রহমান, পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ,  পরিচালক কামার আহমেদ সায়মন।

সারা আফরিন, পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন, পরিচালক শিহাব শাহিন, পরিচালক জসিম আহমেদ, পরিচালক গোলাম হায়দার কিসলু, থিয়েটার প্র্যাক্টিশনার স্পর্ধা মহসিনা আখতার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক শাহিন সুমন, সভাপতি ও অভিনয় শিল্পী আহসান হাবীব নাসিম, অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান।

অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, অপি করিম, সঙ্গীত শিল্পী আনুশে আনাদিল, অভিনয় শিল্পী ইস্তেখাব দিনার, পরিচালক ওয়াহিদ তারেক, পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন, সঙ্গীত শিল্পী শিবু কুমার শীল, পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু, পরিচালক কচি খন্দকার, চলচ্চিত্রকার এন রাশেদ চৌধুরী, শর্ট ফিল্ম ফোরাম সভাপতি জহিরুল ইসলাম কচি, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুর রহমান, ডকল্যার বাংলাদেশ এর তারেক আহমেদ ও সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানি, চিত্রগ্রাহক গোলাম মাওলা নবীর, শেখ রাজিবুল ইসলাম, বরকত হোসেন পলাশ, তাহসিন রহমান, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার রিপন নাথ।

অভিনয় শিল্পী জাকিয়া বারী মম, নুসরাত ইমরোজ তিশা, আজমেরী হক বাধন, সুষমা সরকার, অভিনয় শিল্পী ও প্রয়োজক ইরেশ যাকের, পরিচালক আশুতোষ সুজন, শরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুন, রেদোয়ান রনি, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, তানিম নুর, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, মাহমুদুল ইসলাম, হুমায়ারা বিলকিস, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আদনান আল রাজীব, আবু শাহেদ ইমন পরিচালক, বিজন ইমতিয়াজ, আরিফুর রহমান, রায়হান রাফি, পরিচালক, নুহাশ হুমায়ুন, সৈয়দ শাওকি, সালেহ সোবহান অনিম।

চলচ্চিত্র সংগঠক বেলায়েত হোসেন মামুন, প্রযোজক সরদার সানিয়াত হোসেন, পরিচালক অনম বিশ্বাস, প্রযোজক এশা ইউসুফ, মীম রশিদ, পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, গোলাম কিবরিয়া ফারুকী, মিলন ভট্টাচার্য, দিলশাদ শিমুল, আফজাল হোসেন মুন্না, মুসাফির সৈয়দ, গোলাম মুক্তাদির শান, ইমরাউল রাফাত, ইমেল হক, আর বি প্রীতম, তানিম পারভেজ, মাবরুর রশীদ বান্নাহ, আতিক জামান, জয়ন্ত রোজারিও, পল্লব বিশ্বাস, পিকলু চৌধুরী, নিয়ামুল মুক্তা, শহিদ উন নবী, হাসান মোরশেদ, এবি রোকন, রুবায়েত মাহমুদ, মাজেদুল হক রানা, সেতু আরিফ, আরিক আনাম খান, কাজল আরেফিন অমি, সঙ্গীত শিল্পী ও পরিচালক আহমেদ হাসান সানি, পরিচালক সামিউর রহমান, মমিন বিশ্বাস, নাজমুল নবীন, ফাহাদ খান আব্দুল্লাহ মুক্তাদির, মাহমুদুল হাসান আদনান, আর্ট ডিরেক্টর শিহাব নুরুন নবী, তারেক বাবলু, শহীদুল ইসলাম, কস্টিউম ডিজাইনার ফারজানা সান ও ইদিলা ফরিদ তুরিন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত