লৌহজংয়ে টিকা প্রদানে হট্টগোল নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মী অবরুদ্ব
প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২১, ১৭:২৩ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০১
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভ্যাকসিন টিকা নিতে আসা লোকজনের হট্রগোল এবং টিকা প্রদান কারী ৪ নার্স ও একজন স্বাস্থ্য কর্মীকে অবরুদ্ব করে রাখেন তারা। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয় দুপুর আড়াইটায়। এ অবস্থায় করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে শৃক্ষলা ও সামাজিক দুরত্ব কোনটাই রক্ষা হচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নুরুল আলম খান জানান,বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে গণ টিকা দেয়ার বিষয়টি প্রচার হওয়ায় এবং কোন রকম রেজিষ্ঠেশন ছারাই টিকা দেয়া যাবে এমন খবরে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় গত দুদিন ধরে লৌহজং সদর হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নিতে আসা লোকের উপচেপড়া ভীড় জমাচ্ছে।
তিনি জানান, রোববার সকাল ৮ টা থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটকে উপচেপড়া ভীড় দেখতে পেয়ে লৌহজং থানায় ফোন দেয়া হয় নিরাপত্তার জন্য। বেলা বারার সাথে সাথে কয়েকগুন টিকা গ্রহনকারী লোকজন হাসপাতালে ভীড় জমায়। বেলা সাড়ে ১২ টায় লোকজনের পরিমান দাড়াঁয় প্রায় আড়াই হাজারে যা সামাল দেয়া মোটেও সম্ভব নয়। হাসপাতালের দুটি রুমে ৪ জন নার্স টিকা প্রদান করছেন এবং কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী তাদের সহযোগিতায় এনআইডি কার্ড ও রেজিষ্টেশন কাগজ সিরিয়াল করছে। এ পরিস্থিতিতে লোকের বারতি চাপের কারনে শতশত লোক টিকা প্রদান রুমে প্রবেশ করলে অবস্থা বেগতিক দেখে সিনিয়র স্বাস্থ্যকর্মী মো. মিজানুর রহমান নার্সদের নিয়ে একটি রুমে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে দিলে সৃষ্ঠি হয় হট্রগোলের। এ সময় টিকা নিতে আসা লোকজন দরজা খুলতে এবং ভাঙ্গতে স্বাজোরে আঘাত করে দরজায় এবং তাদেরকে অবরুদ্ব করে রাখে।
এ খবর হাসপাতালে থাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: নুরুল আমিন শুনতে পেয়ে তার রুমে থাকা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা ইসলাম কে নিয়ে পরিবেশ শান্ত করতে নিচে নেমে এলে তারাও অবরুদ্ব হয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. কাউসার হামিদ ও বেজগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন তালুকদার ঘটনা স্থলে আসেন। তার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবীরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
তখন ইউএনও মো. হুমায়ুন কবীর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ শিকদার ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ শান্ত করেন বেলা আড়াইটায়। আবশেষে হাসপাতাল সুএে জানাযায়, বয়স্ক লোক ও নারীদের টিকা প্রদান করা হয় এবং যাদের মোবাইলে ম্যাসেস এখনো আসেনি এমন সব কোকজনকে ম্যাসেস পেয়ে আসতে বলা হয়। সরেজমিনে রোববার লৌহজং সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় গাদাগাদি করে দাড়িয়ে আছে টিকা নেয়ার জন্য সেখানে সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই। টিকা প্রার্থীদের উপচেপরা ভীড়। সামাজিক দুরত্ব মানছেনা কেউ। কক্ষের ভিতরে গাদাগাদি করে দাড়িঁয়ে আছে টিকা প্রার্থী নারী-পুরুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মো. নুরুল আলম খান অরোও জানান, লৌহজংয়ে মাএ আট হাজা টিকা দেয়া হয়েছে এর মধ্যে গত কাল শনিবার ১০ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার টিকা প্রদান করা হয়েছে। বাকি দুই হাজা টিকার মধ্যে প্রায় এক হাজার টিকা শনিবার হাসপাতালে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে লৌহজংয়ে টিকার জন্য প্রায় ১৮ হাজার রেজিষ্ঠেশন করা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত