লৌহজংয়ে জনকল্যাণমুখী সংগঠন বাতিঘর এর যাত্রা শুরু 

  স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৭ |  আপডেট  : ৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৫

তরুণরা গড়তে জানে ভাঙতে জানে, সৃষ্টিসুখের উল্লাস নিয়ে লৌহজংয়ের মাওয়ায়  অবক্ষয়ের এ-ই দহনকালে কিছু তরুণ সংগঠিত করলো জনকল্যাণমুখী একটি সংগঠন বাতিঘর। 

গত ১৮ জানুয়ারি শুরু হলো ওদের বাতিঘরের বাতি ছড়ানোর কাজ। লৌহজংয়ের মেদিনীমণ্ডলে  কিছু তরুণ এ সংগঠন গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করেন।  

এই সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন মশিউর শেখ রতন ও মোঃ সাদ্দাম ঢালী এবং তাদের সাথে তাদের বন্ধুমহলসহ ছোট ভাইয়েরা।  সামান্য শক্তি  নিয়ে সংগঠনের যাত্রা শুরু করেন তরুণরা।

সংগঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ শে জানুয়ারি শুক্রবার মিলাদ মাহফিল সম্পন্ন করে অসহায় ব্যক্তিদের শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেন। তাদের শীতবস্ত্র বিতরণের মধ্যে একটু ব্যতিক্রম চিন্তাভাবনা লক্ষ্য করা গেছে; তাদের ইচ্ছে ছিল যে, তারা বাড়িতে যেধরনের কম্বল নিজেরা ব্যবহার করেন অসহায় ব্যক্তিদের ঠিক তেমনই মানসম্পন্ন কম্বল বিতরণ করবেন।

ইতিমধ্যে তাদের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে তাদের শীতবস্ত্র বিতরণের পূর্বে তারা যাচাই বাছাই কমিটির মাধ্যমে সত্যিকারের অসহায় ব্যক্তি নির্বাচন করেন,  তারপরে সংগঠনের সদস্যবৃন্দগণ বাড়িতে যেয়ে-যেয়ে উন্নত মানের কম্বল প্রদান করেন। তাদের এই মানসম্পন্ন কম্বল পেয়ে অসহায় ব্যক্তিগণ অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

ইতিমধ্যে তাদের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট হয়ে  সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে  প্রশংসা করছেন। "বাতিঘর" সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে মশিউর শেখ রতন জানান যে, আমরা চাই অসহায়,অনাথ মানুষের জন্য কিছু করার।

 মানুষ মরণশীল চিরকাল আমরা কেউই বেঁচে থাকতে পারবো না। তাই, এসো জ্বলে উঠি; জনকল্যাণ। তিনি আরো জানান যে, আগামী শুক্রবার থেকে "বাতিঘর" সংগঠন কর্তৃক ৩০ (ত্রিশ হাজার) মাক্স বিতরণ কর্মসূচি শুরু হবে।  বাতিঘর অন্ধকার দুর করে আলো ছড়াক এ-ই শুভকামনা সৃজনশীল সকল মানুষদের।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত