রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আবাসনের নিরাপত্তায় ডিএমপির নির্দেশনা
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২১, ১৯:৩৭ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬
রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপণী বিতান ও আবাসনের নিরাপত্তায় ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোরবানীর পশুর হাট সমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ মহানগরীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদ উদ্যাপনের লক্ষ্যে ডিএমপি সব ধরনের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে নগরবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।
ঈদকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। ডিএমপি’র জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশী টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরী হয় তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান এর যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব বলে ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ডিএমপি’র নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য মহানগরবাসীদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান অথবা আবাসন বা এ্যাপার্টমেন্ট অথবা বিপনী বিতানসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যে কোন ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিনরাত ২৪ ঘন্টা নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারক করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি অথবা ফ্ল্যাট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন তদারকি কমিটি করে ২৪ ঘন্টা পালাক্রমে কমিটি দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করা।
প্রতিষ্ঠান অথবা বিপনী বিতান বা আবাসনে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে। সিসিটিভিসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিয়মিত নিশ্চিত করতে হবে।
সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমত রেকর্ড হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা অথবা কর্মচারীকে একসাথে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা যাতে করে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে পারেন।
দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ কন্ট্রোলরুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যে কোন দুর্ঘটনা অথবা অপরাধ সংঘটনের আশংকা তৈরী হলে দ্রুত পুলিশকে অবহিত করা যায়।
মূল্যবান সামগ্রী যেমন স্বর্ণালংকার, দলিল, অর্থ ইত্যাদি নিরাপদ হেফাজতে রাখতে হবে। কাছের আত্মীয় স্বজনের কাছে রাখতে হবে অথবা ব্যাংক লকারের সহায়তা নিতে হবে।
বাসা-বাড়ি ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করতে হবে। যে সমস্ত দরজা-জানালা দূর্বল অবস্থায় আছে তা মেরামতের মাধ্যমে সুরক্ষিত করে নিতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করতে হবে।
বাসা-বাড়ি ত্যাগের আগে যে সমস্ত প্রতিবেশী বা পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন তাদেরকে আপনার বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ এবং ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
আপনার অনুমতি না নিয়ে কেউ যেন বাসায় প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করতে হবে। নিরাপত্তাকর্মী না থাকলে আগন্তুক এর পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে দরজা না খোলার জন্য বলা হয়েছে।
মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে অথবা দুস্কৃতিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।
মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে নগরবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত