‘যেকোনও কিছুর বিনিময়ে’ খাদ্যের মজুত বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৪৭ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২

করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে ‘যেকোনও কিছুর বিনিময়ে’ খাদ্যের মজুত বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ নিয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে। তাই এ নিয়ে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুতের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চাল আমদানির জন্য যাদের ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফেল করতে পারে। এজন্য আগেই কিছু বিকল্প অর্ডার দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সাধারণত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। তবে এবছর নভেম্বরে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও নভেম্বর পর্যন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই কর্মসূচি চালানোর জন্য অতিরিক্ত আরও ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল প্রয়োজন হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পাঁচটি দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হবে। দেশগুলো হলো, রাশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, ভারত ও থাইল্যান্ড। রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানিতে কূটনৈতিক কোনও সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।

দেশে এখন ২০ লাখ টনের বেশি চাল মজুত আছে; যা ‘সন্তোষজনক’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী সবশেষে বলেছেন, খাদ্যের দিক থেকে আমরা নিরাপদে আছি।

দেশে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার আমন ফসল রোপণ বিঘ্নিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করেও পর্যাপ্ত পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। দেশের অন্তত ১২ থেকে ১৩টি জেলার ডিসি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ফলে বাজারে ইতোমধ্যে চালের দাম কমেছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খবর পেয়েছি এই কর্মসূচির সুফল ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে বাজার থেকে কিছু বড় বড় পার্টি উঠে গেছে। আর এর ফলে বাজারে চালের সরবরাহও এখন ভালো।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত